ডেস্ক রিপোর্ট: লেডি সুপারস্টার নয়নতারার জীবনের গল্প নিয়ে বানানো তথ্যচিত্র ‘নয়নতারা : বিয়ন্ড দ্য ফেইরি টেল’-এর ট্রেলার দেখে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন অভিনেতা-প্রযোজক ধানুশ। তথ্যচিত্রের ট্রেলারে ধানুশ প্রযোজিত ‘নানুম রাউডি ধান’ সিনেমার তিন সেকেন্ডের বিহাইন্ড দ্য সিন ব্যবহার করা হয়েছিল। এজন্য নয়নতারার কাছে ১০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন তিনি। এ নিয়ে ধানুশের উদ্দেশে ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ খোলা চিঠি লিখেছেন অভিনেত্রী। তাতে ধানুশের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এনেছেন।
নয়নতারা উল্লেখ করেছেন, এই তথ্যচিত্রে ব্যবহারের জন্য ধানুশ প্রযোজিত সিনেমার ফুটেজ ও গানের অংশবিশেষ ব্যবহার করার ইচ্ছা ছিল। এজন্য অনুমতিও চেয়েছিলেন তার কাছে। দুই বছর ধরে বারবার অনুরোধ করার পরও রাজি হননি ধানুশ। উল্টো নয়নতারাকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন।
ধানুশের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার মতো একজন সুপ্রতিষ্ঠিত অভিনেতা, যিনি বাবা এবং ভাইয়ের সমর্থন পেয়েছেন, তাকে বিষয়টি বুঝতে হবে। সিনেমা আমার মতো মানুষের জন্য বেঁচে থাকার লড়াই। এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। আজ আমি যে অবস্থানে আছি তার জন্য আমাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। এটি যারা আমার বিষয়ে জানে তাদের কাছে গোপন নয়। তবে বিষয়টি দর্শকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
ধানুশের ‘প্রতিহিংসা’ নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, নেটফ্লিক্সে আমার তথ্যচিত্রটির প্রিমিয়ার নিয়ে শুধু আমিই নয় অনেক ভক্ত এবং শুভাকাক্সক্ষীরা প্রতীক্ষা করছে। তথ্যচিত্রটির বিরুদ্ধে আপনি যে প্রতিহিংসা প্রকাশ করেছেন, তা কেবল আমার জন্য নয়, যারা এই প্রকল্পে সময় দিয়েছেন তাদেরও প্রভাবিত করবে।
নয়নতারা বলেন, আমার জীবন, প্রেম ও বিয়ে নিয়ে এই তথ্যচিত্রে অনেকের ধারণ করা ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা ‘নানুম রাউডি ধান’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ধানুশের অনুমতি না পাওয়ায় তারা বিহাইন্ড দ্য সিন ব্যবহার করেন। কিন্তু এরপরও আইনি নোটিস পাঠানো হয়। নয়নতারা উল্লেখ করেন, তিন সেকেন্ডের বিহাইন্ড দ্য সিন ব্যক্তিগত ডিভাইসে শুট করা হয়েছিল এবং তা ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে।
নয়নতারা বলেন, আমি আপনার আইনি নোটিশ পেয়েছি এবং আইনি উপায়ে এর জবাব দেব। আমাদের সিনেমার ফুটেজ ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়া আপনার কাছে ন্যায়সংগত হতে পারে। তবে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, নৈতিকতা বলে একটা বিষয় আছে, যা আপনাকে সৃষ্টার কাছে রক্ষা করতে হবে। আপনি ভক্তদের সামনে যেভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেন বাস্তবে তার অর্ধেকও নন। কোনো প্রযোজক সেটের সব ব্যক্তির জীবন ও স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
তিনি ধানুশকে প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে অন্যের আনন্দে আনন্দিত হওয়ার এবং ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাকে তথ্যচিত্রটি দেখারও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।