বৃষ্টিতে ১৫ মিনিট পিছিয়ে ছিল দ্বিতীয় সেশন শুরুর সময়। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের বদলে ১টা ৫৫ মিনিটে শুরু হয় খেলা। এরপর ঘণ্টা খানেকও খেলা হতে পারেনি। আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। কিছুক্ষণ পর শুরু হয়েছে বৃষ্টিও।
৩৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান। ৬ রান নিয়ে উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহিম। অপর অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হকের সংগ্রহ ৪০ রান।
নতুন বলে সাবধানী শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজকে ভালোভাবেই সামলেছেন তারা। তবে আকাশ দীপ আক্রমণে এসেই ভারতকে ব্রেকথ্রু এনে দেন।
ইনিংসের নবম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসেন আকাশ। ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরে গুড লেংথে করেছিলেন এই পেসার। সেখানে ডিফেন্স করতে গিয়ে আউট সাইড এজে বল চলে যায় তৃতীয় স্লিপে। সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন জয়সাওয়াল। ২৪ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি জাকির।
আরেক ওপেনার সাদমানকেও ফেরান আকাশ। ইনিংসের ১৩তম ওভারের প্রথম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার। গুড লেংথে পড়ে সুইং করে সাদমানের সামনের পায়ে লাগে বল। তাতে আবেদন করলেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নেয় ভারত। এমনিতে দেখে মনে হয়েছিল, বল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাবে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারের রিপ্লেতে দেখা গেল বল লেগ স্টাম্পে লাগত।
ভালো শুরুর পর আরো একবার ইনিংস বড় করতে পারেননি সাদমান। ৪ চারে ৩৬ বলে ২৪ রান এসেছে এই বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে। দ্রুত দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা হলেও তখন চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে চারে নেমে এদিন শুরু থেকেই কাউন্টার অ্যাটাক করেছেন শান্ত। তার সাবলীল ব্যাটিংয়ে ভারতীয় বোলারদের প্রভাব কমে। আরেক প্রান্তে সময় নিয়ে সেট হয়েছেন মুমিনুল। এ দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে লাঞ্চ বিরতির আগে আর কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ।
তবে লাঞ্চ থেকে ফিরে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। ২৯তম ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫৭ বলে ৩১ রান করে আউট হন শান্ত।