The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

ঢাবিতে ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের

ঢাবি প্রতিনিধি: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে জুলাইয়ের শুরু থেকে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। প্রতিদিন নতুন নতুন কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে প্রত্যয় স্কিমের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরাও। আন্দোলন যখন চরম আকার ধারণ করে, তখন শিক্ষকদের দাবি মেনে নেয় সরকার। তবে ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে।

তিন মাসেরও বেশি সময় আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ। শিগগির যথারীতি ক্লাস শুরু না হলে আমরা বড় সেশনজটে পড়ে যাবো। শিক্ষাজীবনে জটে পড়লে ক্যারিয়ারেও পিছিয়ে পড়তে হবে।- শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সচল করতে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শূন্য হয়ে পরা পদগুলো পূরণ করা। নানান কারণে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। হলগুলোতে প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষক না থাকায় বড় ঝুঁকির মধ্যে আবাসিক শিক্ষকরাও। ফলে ক্যাম্পাসে এখনো শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত হয়নি।এ বিষয়ে ঢাবি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান জানান তাদের পরীক্ষা চলাকালে আন্দোলনকে ঘিরে বাকি পরীক্ষা গুলো ও স্থগিত হয়ে যায়। কবে সেমিস্টার শেষ হবে এই নিয়ে চিন্তিত তারা।এছাড়া শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়বে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলেন যখন কোনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ মাস ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকে সেটার প্রভাব ৩ বছর পযন্ত থেকে যায়।

ঠিক কবে নাগাদ ক্লাস পরীক্ষা চালু হবে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রশাসনে গতি আনার কাজে হাত দিয়েছি। ক্লাস ও পরীক্ষা, অর্থাৎ একাডেমিক কাজ শুরু করতে পারিনি। আমি দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে ক্লাস শুরু করানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’

নতুন এ উপাচার্য বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রক্টরিয়াল বডি ঠিক করছি। নিরাপত্তা ইস্যুতে কাজ শুরু হয়েছে। এখন একাডেমিক কাজের দিকে নজর দেবো। সবার সহযোগিতা পেলে আশা করি, দ্রুত এ অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।’

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.