কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেত্রী।
পদত্যাগ করা ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম নুসরাত জাহান সুরভী। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় তার নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই ছাত্রলীগ নেত্রী।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, নওয়াব ফয়জুন্নেছা হল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে সেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। আমি লজ্জিত যে, আমি এমন একটা সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলাম।
এ বিষয়ে নুসরাত জাহান সুরভী গণমাধ্যমকে বলেন, আপনিও মানুষ আমিও মানুষ, আপনিও জানেন দেশে কী হচ্ছে। সেই মানবিক দিক বিবেচনা করে আমি শাখা ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেছি।
এর আগে, সোমবার রাত আটটার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফরহাদ কাউসার শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসলে হলে আসার পথে আটজন ছাত্রলীগ কর্মী তাকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তার ফোন চেক করে এবং তাকে মারধর করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, মার্কেটিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রবিন দাশ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফেকশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রিয়াজ উদ্দিন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আক্তারুজ্জামান পাভেল, মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আশিকুর রহমান রাফি, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জুনায়েদ লামিম, গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অর্ণব সিংহ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আসিফ এনতাজ রাব্বি এবং আগামী কমিটির পদপ্রত্যাশী মেজবাহউল হল শান্ত।
ভুক্তভোগী ফরহাদ কাউসার বলেন, আমি রাতের বাসে শহর থেকে টিউশন করে এসে ক্যাম্পাস গেটে নামি। এরপর আমাকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে যান। তারা আমার ফোন নিয়ে লক খুলতে বলেন এবং জানতে চান আমি কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কি না। তারা আমার ফোন চেক করতে থাকা অবস্থায় রবিন দাশ প্রথমে আমাকে মারধর করতে শুরু করেন। এরপর পাভেল, রাফি, শান্ত, রিয়াজ, রাব্বি আমাকে মারধর করেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।