কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: লবণাক্ত জমিতে কেনাফ চাষ করা যায় এমন ধারণা নাই কৃষক দের মধ্যে । তবে প্রথম বারের মত সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চৌধুর আটি গ্রামে এই ফসলের আবাদ করে সফলতা অর্জন করেছেন চৌধুর আটি গ্রামের মোঃ এমান মৃধার পুত্র কৃষক ইকবাল আলম (৩৩) ফলে এই অঞ্চলের জমিতে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কেনাফ পাট গাছের মত লম্বা পাতা গুলো ঢেঁড়সের পাতার মত গাছের উচ্চতা পাট গাছের মত হলেও এর কান্ড গুলো তুলনা মূলক একটু মোটা।
ইকবাল আলম জানান আমি প্রথম আমার এক বিঘা জমিতে কেনাফ চাষ করেছি জায়গাটি লবণাক্ত। কালিগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শে কেনাফ চাষ করেছি তারা আমাকে বিনামূল্যে বীজ ,সার ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কেনাফের ফলন ভালো দেখে আমরা আনান্দিত কেনাফ চাষে নিড়ানি দেওয়া লাগে না একবার সার প্রয়োগ করলে হয় উৎপাদন খরচ ও খুবই কম।
কেনাফ চাষে চাষীদের আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করার জন্য গত ২২ জুন শনিবার দুপুরে অর্থায়নে পার্টনার প্রকল্প,বিজে আর আই অংগ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট,উপ কেন্দ্র, মনিরামপুর, যশোর এর সার্বিক সহযোগীতায় কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চৌধুর আটি গ্রামে লবণাক্ত এলাকায় কেনাফের জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে প্রগতিশীল কৃষক, বীজ, ব্যবসায়ী, জেএফ/এস এ এ ও দের সাথে মত বিনিময় সভা কৃষি বিদ ড, নার্গীস আক্তার পরিচালক (কৃষি) বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মানিক মিয়া এভিনিউ ঢাকা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড, মোঃ আবদুল আউয়াল ,মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট,মানিক মিয়া এভিনিউ ঢাকা । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড, মোঃ গোলাম মোস্তফা , মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্রজনন বিভাগ, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মানিক মিয়া এভিনিউ, ঢাকা ১২০৭ । আরো উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ ফারুক আহমেদ , মাসুদ পারভেজ জে,এফ,এস প্রমুখ ।প্রধান অতিথি তার আলোচনায় বলেন কালিগঞ্জ উপজেলায় পাটের বিকল্প হিসেবে কেনাফ চাষের বিপুল সম্ভাবনা দেখা গেছে । লবণাক্ততা খরা ও এক ফসল আমন পরবর্তী পতিত জমিতে অল্প পরিচর্যায় কেনাফ চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া যায়। কালিগঞ্জের কৃষকেরা কেনাফ চাষ করতে চাইলে বিনামূল্যে বীজ সহ যাবতীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়েদ নজরুল ইসলাম।