The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪

৪৬ হাজার শিক্ষকের ‘ভাইভা’য় বাধা নেই, তদন্ত শেষের আগে ফল প্রকাশ নয়

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন আজ চেম্বার আদালত তা স্থগিত করে দিয়েছেন। ফলে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

তবে পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আদালত। আদালত বলেছেন, প্রশ্নফাঁসের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাবে না।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এর আগে, গত ২৮ মে ৪৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

সেদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

ব্যারিস্টার সুমন ওইদিন গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়েছিল। আর এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছে। এরইমধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলও প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে পরীক্ষার প্রকাশিত ফল নিয়ে প্রশ্ন উঠে। প্রশ্নফাঁস হওয়ার ঘটনার তদন্ত ও পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ ২য় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ১৭ জুন ৩য় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.