নিজস্ব প্রতিবেদক: গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রভাষক লিমন হোসেন এর উপর দুই দফা হামলা চেষ্টা করলে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের ৪র্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আবিদ হোসেন নাফিদ ও তার সঙ্গীয় বহিরাগত।
দুই দফা এই হামলা চেষ্টার প্রথম দফায় অনাকাঙ্খিত এই হামলার হামলাকারীদের প্রতিহত করে প্রভাষক লিমন হোসেনকে নিরাপদ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা, অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগিতা ও উপস্থিতিতে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় তারা আবারও হামলা চালালে সংঘর্ষ বাঁধে সংক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, হামলাকারী ও বহিরাগতদের মাঝে।
মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ১২ঘটিকার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস চলাকালীন সময় এই ঘটনা ঘটে। এসময় রাজনীতি ও প্রসাশন বিভাগের ৪র্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ক্লাস চলাকালীন সময় তার সঙ্গীয় বহিরাগতদের নিয়ে আইন বিভাগে অনুপ্রবেশ করে এবং আইন বিভাগের ১ম ও ২য় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের নানা ভাবে জোরপূর্বক তারা একটি মানববন্ধন এর আয়োজন করবে শিক্ষার্থীরা যাতে সেখানে উপস্থিত হয় সেজন্য বাধ্য করার চেষ্টা করেন।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে জানা যায়, বিভাগে উক্ত ঘটনাস্থলে এমন সরগোল সৃষ্টি হলে আইন বিভাগের শিক্ষক লিমন হোসেন এগিয়ে যান এবং তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা যে কোন আন্দোলন করতে পারেন, মানববন্ধন করতে পারেন তবে কাউকে বাধ্য করতে পারেন না। এসময় তার কথার জবাবে ক্ষীপ্ত হয়ে রাজনীতি ও প্রসাশন বিভাগের ৪র্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আবিদ হোসেন নাফিদ, আইন বিভাগের শিক্ষক লিমন হোসেনের দিকে তেড়ে আসে এবং তাকে নানা অশ্লীল কথা বলে মারতে এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে নাফিদ শিক্ষকের গায়ে ধাক্কা দিলে সেখানে উপস্থিত তাদের সাথে পারষ্পরিক ধাক্কাধাক্কির সৃষ্টি হয়।
মুহুর্তেই ঘটনাস্থলে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা জড়ো হন ও শিক্ষকের উপর এমন আচরণে ক্ষীপ্ত হয়ে প্রতিবাদ জানান। বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্ষীপ্ত হলে নাফিদ ও বহিরাগতরা তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থল পরিত্যাগ করেন। এসময়ে বিভাগীয় ও অন্যান্য শিক্ষকগনের উপস্থিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরবর্তীতে এই ঘটনা জানাতে শিক্ষক লিমন হোসেন ও শিক্ষার্থীরা উক্ত ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনিক কার্যালয়ে অগ্রসর হলে একাডেমিক চত্ত্বরে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা নাফিদ ও বহিরাগতরা তাদের উদ্দ্যেশ্য করে কটুক্তি পূর্ণ শ্লোগান দিতে দিতে তাদের দিকে এগিয়ে আসলে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষককে অমর্যাদা ও হামলা চেষ্টার প্রতিবাদে সকল শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে নাফিদকে গলা ধাক্কা দিয়ে ঘটনাস্থল এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিত্যাগ করতে বাধ্য করেন। সেই সাথে এরূপ হামলা ও শিক্ষকের অমর্যাদার বিরুদ্ধে যথযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে তারা লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন বলে জানা যায়। সর্বোপরি দুই দফায় এরূপ ঘটনা ও শিক্ষকের উপর হামলা চেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের সাথে কথা হলে তারা জানান আমরা বিষয়টি আমলে নিয়েছি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।