The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

আমেরিকান দূতাবাসের প্রতিনিধির নোবিপ্রবির গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন

নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স ও ইউএসডি’র অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকান দূতাবাসের অ্যাগ্রিকালচার অ্যাটাচি সারাহ গিলেস্কি। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি এ গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এ সময় অ্যাটাচি সারাহ গিলেস্কিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন। পরে সারাহ গিলেস্কি গবেষণা অগ্রগতি সংক্রান্ত সভায় যোগদান করেন। সভায় মৎস্য চাষ নিবিড়করণে যান্ত্রিকীকরণের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

প্রধান গবেষক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মৎস্য চাষে অ্যারেশন ব্যবহার করে মাছ উৎপাদন দেড়গুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। অ্যারেশনের ধরণ, সময় ও মাছের প্রজাতি নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। তিন বছর মেয়াদি এই গবেষণা সম্পন্ন হলে চাষী পর্যায়ে সুফল পৌঁছানো সম্ভব হবে। এতে কম জমিতে বেশী পরিমাণ মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল আলম। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ ও রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আনিসুজ্জামান, রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিন, বিভাগের শিক্ষক, গবেষণা প্রকল্পের গবেষক ও শিক্ষার্থীরা।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম গবেষণা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি দেশের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে অল্প জমিতে অধিক মাছ উৎপাদনে এই গবেষণা অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নোবিপ্রবি গবেষণাবান্ধব প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা দল-মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে সকল সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

সারাহ গিলেস্কি বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নোবিপ্রবির গবেষণা সত্যিই প্রশংসনীয়। ভৌগোলিকভবে নোবিপ্রবি অত্যন্ত সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণার অবারিত সুযোগ রয়েছে। আমেরিকান জনগণ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী।

পরে প্রতিনিধিদল ল্যাব এবং গবেষণা পুকুর ঘুরে দেখেন। এ সময় উপাচার্য অন্যান্য অতিথি ও সারাহ গিলেস্কিকে সঙ্গে নিয়ে অ্যাকুয়া ফিল্ড রিসার্চ ফ্যসিলিটিজ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে সারাহ গিলেস্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

উল্লেখ্য, ১২ টি গবেষণাপুকুর, দুইটি মাঠ গবেষণাগার নিয়ে অ্যাকুয়া ফিল্ড রিসার্চ ফ্যসিলিটিজ প্রধান গবেষক ড. আব্দুল্লাহ-আল মামুনের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে। অ্যাকুয়া-ফিল্ড রিসার্চ ফ্যসিলিটিজ গবেষক, ছাত্র-ছাত্রী সকলের গবেষণায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.