সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণিত বিভাগের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। ওইদিন রাতেই বিভাগের সভাপতি জানিয়েছিলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক জানান, ডেঙ্গু নয় হেপাটাইটিস এ বা জন্ডিস এবং কিডনি বিকলে মৃত্যু হয়েছে ওই শিক্ষার্থীর।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. মুরাদ আহমেদ মৃধা। তিনি রাবির গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার কাটাস্কোল এলাকায়। তার বাবার নাম মো. সাত্তার মৃধা এবং মায়ের নাম মোছা. মিনা বেগম।
মুরাদ আহমেদ মৃধার মৃত্যু এবং চিকিৎসা বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, ওই শিক্ষার্থী আমাদের এখানে হেপাটাইটিস এ এবং কিডনি বিকল সমস্যার কারণে ভর্তি ছিলেন। দুটি বিষয়কেই মৃত্যুর কারণ বলা যায়। কিডনি ফেইলিউর সমস্যাটা সিরিয়াস ছিল। আমাদের এখানে তার তিনবার ডায়ালাইসিস করানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, হেপাটাইটিসের কারণে প্রথমে সে লিভার ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল। এরপর কিডনি ওয়ার্ডে ট্রান্সফার করা হয়। অধ্যাপকরা মিটিং করার পাশাপাশি ঢাকায়ও কথা বলেছেন তার চিকিৎসা বিষয়ে। তাকে সেভ করতে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে।
ভুল তথ্য দেয়ার বিষয়ে গণিত বিভাগের সভাপতি নাসিমা আক্তার বলেন, এটা আসলে ভুল না। আমরা এখনো জানি যে, তার ডেঙ্গু হয়েছিল। ছেলেটির বাবাও বলেছিল যে, তার ডেঙ্গু হয়েছিল। আবার ছেলেটি নিজেও তার ফেসবুক আইডিতে একটা পোস্টে বলেছে যে, তার ডেঙ্গু হয়েছিল। আর ডাক্তারদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, ছেলেটি হলে থাকতোনা, মেসে থাকতো। এবং বাড়িতে থাকা অবস্থায়ই সে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিল। তার অসুস্থতার বিষয়ে আমরা জানতামনা। সুতরাং, আমাদের কাছে এতো বিস্তারিত তথ্য থাকার কথাও না। আর ডেঙ্গু ভালো হয়ে যাওয়ার পরেও বিভিন্ন জটিলতা থাকে। এখন কোন জটিলতায় কি হয়েছে, সেটাতো আমরা বলতে পারবোনা। আমরা যেটুকু শুনেছি, সেটুকুই বলতে পারি। তবে, একজন মা এবং শিক্ষক হিসেবে আমি তার মৃত্যুতে খুবই কষ্ট পেয়েছি।