বশেমুরবিপ্রবি’তে ওবিই কারিকুলাম প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) আউটকাম বেসড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলাম প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার(৭ নভেবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি)’র আয়োজনে একাডেমিক ভবনের ৫০১ নম্বর কক্ষে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বশেমুরবিপ্রবি’র মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ডিগ্রি দেয়া হয়, শিক্ষার্থীরা ভালো সিজিপিএ পায়, কথাবার্তায় ভালো; যার সবটাই সিলেবাস ভিত্তিক। আর আউটকাম বেসড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলাম হলো, পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে টেকনোলজি, জিও পলিটিক্স, ইকোনমির সাথে চলমান শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয় করা।
বালাইজেশনের এই বিশ্বে একা থাকার সুযোগ নেই। প্রশ্ন হতে পারে, মাঠভরা ফসল, পুকুরভরা মাছ, প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকার পরও বহির্বিশ্বের সহায়তা কেনো প্রয়োজন? কারণ, দেশ যতো উন্নত হবে, ততো নির্ভরশীলতা বাড়বে। আজকের আমেরিকাও জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে থেকেও অর্থনৈতিক কারণে তারা অসহায়ভাবে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কোনো না কোনোভাবে নির্ভরশীলতা থাকবে। এই নির্ভরশীলতা থেকে বের হতে হলে বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থার সাথে মিল রেখে এমন পাঠ্যক্রম চালু করতে হবে, যা দেশের উন্নয়নকে অগ্রগামী করে ।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালো অবস্থানে নিতে হলে কোয়ালিটি সম্পন্ন শিক্ষক তৈরি হতে হবে। যদিও নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের কষ্ট করে এগোতে হচ্ছে। একসময় নিশ্চয় এই অবস্থা কেটে যাবে। একই সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামাঙ্কিত তারই জন্মভূমিতে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে জাতির পিতার প্রেরণা, চিন্তা-চেতনা লালন করতে হবে। শিক্ষকরাও তাদের শ্রম ও মেধা দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি’র পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরো বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মো. মোবারক হোসেন, রিসোর্স পারসন ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সারোয়ার জাহান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতিসহ বিভিন্ন বিভাগের মোট ৬৮ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।