জবি প্রতিনিধি: মেস থেকে রুমমেটের টাকা সাড়ে আট লাখ টাকা চুরির ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম মনিরুল ইসলাম শাহীন। তিনি অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত রয়েছেন।
রাজধানীর গেন্ডারিয়ার বেগমগঞ্জের একটি বাসার মেস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) গেন্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু সাঈদ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি আবু সাঈদ জানান, গত ৩ অক্টোবর গেন্ডারিয়ার বেগমগঞ্জের একটি বাসা থেকে ৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৬০ টাকা চুরির ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান হিমেল বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্তে জানা যায়, মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান হিমেলসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন ছাত্র বেগমগঞ্জের ওই বাসার ৭ম তলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে মেস হিসেবে প্রায় দুই বছর ধরে বসবাস করছেন।
তারা সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। ঘটনার দিন তাদের রুমমেট মনিরুল ইসলাম শাহীনকে রুমে রেখে অন্যান্যরা ক্লাসে চলে যান। পরে দুপুর ১টায় এক রুমমেট বাসায় এসে মেইন দরজা খোলাসহ বাসার মালামাল এলোমেলো দেখতে পান। তখন অন্যান্যরা এসে বাদীর বাবার ব্যবসায়িক কাজের জন্য বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ৮ লাখ ৫০ হাজার ও মেস ভাড়া বাবদ ৩ হাজার ২৬০ টাকা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে রুমমেট মনিরুল ইসলামের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করলে তিনি গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয়েছে বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মো. মনিরুল ইসলাম শাহীনকে আটক করা হয়। আর তার কাছ থেকেই বাসা থেকে চুরি হওয়া ৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত মনিরুল ইসলাম শাহীনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, চুরি হওয়ার সাথে সাথে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাকে ফোনে জানিয়েছিল। আমি সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করে বিষয়টি দেখার জন্য বলে দিয়েছিলাম। টাকা চুরি করে সে কুমিল্লা চলে গিয়েছিলো। পরে ট্রাকিং করে পুলিশ তাকে আটক করে৷ তবে শিক্ষার্থীরা আমার কাছে কোনো অভিযোগ না দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবেনা। এটা থানার বিষয়, থানা বুঝবে।