The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

নীতির প্রশ্নে আমাদের প্রধানমন্ত্রী পিতার মতোই আপসহীন: দীপু মনি

রাবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও এমপি ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্বের সামনেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলে দেন তিনি ফিলিস্তিনি মানুষের পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন৷ তখনই বুঝি পিতার মত তিনিও আপসহীন। আমাদের শক্তিটাও সেখানে আবার ভয়ও সেখানে। আজ আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে ভয়ও বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা নৌকার পাকা মাঝি৷ তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর পারি দিয়ে তার নৌকা পাড়ে পৌছাবে ইনশাল্লাহ।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ’ বিভাগের আয়োজনে ‘আশা-নিরাশায় দোলায় হে-‘ শিরোনামে বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক বক্তৃতা-৫ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএস এর পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজিমুল হক’র সভাপতিত্বে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছেন, যে পথ দেখিয়েছিলেন আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা সে পথে হাটছেন। তার স্বপ্ন ছিল মানুষের অধিকার দেয়া। তিনি সারা বিশ্বের শোষিত মানুষের বিপ্লবের নেতা হয়েছিলেন। তাকে নির্বংশ করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল। দীর্ঘ ৪২ টা বছর প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাকে ১৫ বার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। স্রষ্টা তাকে বাঁচিয়েই রেখেছেন তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য৷ ‘৭৫ এ তারা তাদের কাজটি সমাপ্ত করতে পারেনি। তাদের চেষ্টা একনো তৎপর।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য এবং মানুষের অধিকারের জন্য কাজ করে গেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে কেউ হত্যা করতে পারে তা কেউ কল্পনাও করেনি। যারা তখন প্রতিবাদ করবে বা নেতৃত্ব দিবে তারা তো কারাগারেই ছিল। মাঝে মাঝে কারাগারে আমার যাওয়ার সুযোগ হতো তখন সারারাত মানুষের আর্তনাদ শুনতাম। তখন প্রতিবাদের কন্ঠকে অত্যাচার বা হত্যা করে মেরে ফেলা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু মনে করতেন না তার নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে।

এ সময় প্রধান অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. সনৎকুমার সাহা বলেন, একটি দেশের প্রেক্ষাপট শুধু তার ভিতরেই সিমাবদ্ধ থাকে না। অন্যান্য দেশ কিভাবে পরিবর্তন হচ্ছে তা আমাদেরও একটি লক্ষনীয় বিষয়। বঙ্গবন্ধু সমাজ ও রাজনীতি পরিচালনায় মানুষের কল্যানের পথ বাছাই করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যা মানুষের জন্য উপযুক্ত পথ ছিল। তা তিনি বাছাই করে তার কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর যে দুটি দিক সকলকেই মুগ্ধ করে তা হল তিনি ছিলেন অসামান্য সৃতি শক্তি ও মানুষের প্রতি সহনশীলতার অধিকারী। এগুলোর মাধ্যমে তিনি নিজেকে বিকশিত করেছেন। যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিলেন তাদের ব্যাপারেও তিনি মানবিক ছিলেন। তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’ ‘জাতির পিতা’ নামক স্বীকৃতি পেয়েছেন কিন্তু কখনো সাধারণ মানুষ থেকে নিজেকে আলাদা চোখে দেখেননি।

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি, রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর এবং বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.