The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের প্রতিবাদে বিএনপিপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মানববন্ধন

নিয়ামতুল্লাহ, ইবিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে এক নবীন ছাত্রীকে নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন সাদা দল। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফোরামের সদস্যরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সাদা দলের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মতিনুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুজাহিদুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসউদ আল মাহদী প্রমূখ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ফোরামের সভাপতি আব্দুল মঈদ বাবুল, সাধারণ সম্পাদক ইয়ারুল ইসলাম ও কর্মচারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলামসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মতিনুর রহমান বলেন, ফুলপরির উপর যে নির্যাতন করা হয়েছে তা আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানায়। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেবেন এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবেন। কিন্তু ১২দিন পেরিয়ে গেলেও আমরা তেমন কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করতে পারিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের পরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অপমানজনক। আমরা মনে করি এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রী নির্যাতন প্রতিরোধে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদস্থল হচ্ছে তার ক্যাম্পাস। তবে সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি ক্ষমতাসীন সংগঠনের কিছু নেতৃবৃন্দ অমানবিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে ভয়ের রাজত্ব তৈরী করেছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অনতিবিলম্বে নিজস্ব প্রশাসন যন্ত্রের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের চিন্থিত করে বহিষ্কার করতে হবে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মাইলফলক হবে। যদি এমন না হয় আর আগামীতে এরকম ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে আমরা বিশাল কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।

উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স বিভাগের তাবাচ্ছুমসহ ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ কতৃক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। রবিবার রাতে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন—কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম আবুজর গিফারী, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর শাহবুব আলম। এখন পর্যর্ত নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে মোট ৪ তদন্ত কমিটি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের প্রতিবাদে বিএনপিপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মানববন্ধন

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের প্রতিবাদে বিএনপিপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মানববন্ধন

নিয়ামতুল্লাহ, ইবিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে এক নবীন ছাত্রীকে নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন সাদা দল। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফোরামের সদস্যরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সাদা দলের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মতিনুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুজাহিদুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসউদ আল মাহদী প্রমূখ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ফোরামের সভাপতি আব্দুল মঈদ বাবুল, সাধারণ সম্পাদক ইয়ারুল ইসলাম ও কর্মচারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলামসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মতিনুর রহমান বলেন, ফুলপরির উপর যে নির্যাতন করা হয়েছে তা আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানায়। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেবেন এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবেন। কিন্তু ১২দিন পেরিয়ে গেলেও আমরা তেমন কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করতে পারিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের পরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অপমানজনক। আমরা মনে করি এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রী নির্যাতন প্রতিরোধে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদস্থল হচ্ছে তার ক্যাম্পাস। তবে সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি ক্ষমতাসীন সংগঠনের কিছু নেতৃবৃন্দ অমানবিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে ভয়ের রাজত্ব তৈরী করেছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অনতিবিলম্বে নিজস্ব প্রশাসন যন্ত্রের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের চিন্থিত করে বহিষ্কার করতে হবে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মাইলফলক হবে। যদি এমন না হয় আর আগামীতে এরকম ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে আমরা বিশাল কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।

উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স বিভাগের তাবাচ্ছুমসহ ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ কতৃক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। রবিবার রাতে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন—কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম আবুজর গিফারী, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর শাহবুব আলম। এখন পর্যর্ত নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে মোট ৪ তদন্ত কমিটি।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন