The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

পাবিপ্রবিতে ছাত্রী র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ

পাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) সিনিয়রদের দ্বারা এক ছাত্রী র‍্যাগিংয়ের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐ শিক্ষার্থীর নাম শিমু রাণী তালুকদার। তিনি ইতিহাস বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, তবে রিএডমিশন নিয়ে বর্তমানে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সাথে ক্লাস করছেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ক্যালিকো কটন মিলের পাশে একটি মেসে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

র‍্যাগিংয়ের শিকার হওয়ারএ পর ঐ ছাত্রীকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রোববার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ঐ ছাত্রীকে তার বন্ধুরা মেসে নিয়ে আসেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কয়েকজন বন্ধু জানান, শনিবার রাত আটটার সময় পরিসংখ্যান বিভাগের রুকাইয়া, সাদিয়া পারভিন সোমা, তাসলিমা, গুলনাহার, সুমাইয়া, সাকিলা লোকপ্রশাসন বিভাগের সায়েদা সুলতানা শাওন, ইংরেজি বিভাগের ইসরাত জাহান ইমু সহ মেসের কয়েকজন ইমিডিয়েট সিনিয়র আপু তাকে মেসের ছাদে ডেকে নিয়ে যান। তখন ঐ সিনিয়র আপুরা তাকে ম্যানার শেখানোর নামে মানসিকভাবে হেনস্তা করেন। এভাবে রাত এগারোটা পর্যন্ত এভাবে চলার পর শিমু অসুস্থ হয়ে যায়। এরপর ঐ সিনিয়র আপুরা এম্বুলেন্স ডেকে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

ভুক্তভুগী শিক্ষার্থী শিমু রাণী তালুকদার বলেন, আমি অনেকদিন থেকে অসুস্থ। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে সিনিয়র আপুরা বিভিন্নভাবে আমার দোষ ধরে যাচ্ছেন। আমার ব্যবহার ভালোনা, সালাম দেই না, সম্মান করিনা এভাবে নানা বিষয়ে দোষ ধরতে থাকেন। গতকাল রাতে আমাকে উনারা মেসের ছাদে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে আমাকে ম্যানার শেখানোর নামে বকাঝকা করতে থাকেন। এরপর আমার শরীর খারাপ লাগলে আমি ওয়াশরুমে যাই কিন্তু উনারা আমাকে ওয়াশরুমে থেকে আবার ছাদে নিয়ে যায়। তখন আমি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ি পরে উনারা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, আমি ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। রি-অ্যাডমিশন দেওয়ার কারণে আমি পুনরায় ১ তম ব্যাচের সাথে ক্লাস করছি। সেক্ষেত্রে যারা আমাকে র‍্যাগ দিয়েছে তারা আমাকে ম্যানার শেখানোর নামে কোন দুর্ব্যবহার করতে পারে না। এ বিষয়টি জানার পরও তারা আমার সাথে কয়েকদিন ধরে দুর্ব্যবহার করছেন।

তবে ঐ শিক্ষার্থীকে হেনস্তার বিষয়টি অস্বীকার করেন সিনিয়ররা। পরিসংখ্যান বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রুকাইয়া ইসলাম বলেন, তাকে কোনোরকম মানসিকভাবে কোন হেনস্তা করা হয়নি। আমরা শুধুমাত্র মেসের নিয়মকানুন জানানোর জন্য সব জুনিয়রকে ডেকেছিলাম। শিমুর অসুস্থতার ব্যাপারে আমরা জানতাম না।

এই বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাবিবুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি ওই শিক্ষার্থীর অসুস্থতার বিষয়ে জানতে পেরে সাথে সাথেই হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।কিন্তু র‌্যাগিংয়ের আমাকে ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে কিছু জানায়নি।

শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি এ ব্যাপারে অবগত নই। আর কোনো অভিযোগও পাইনি। ভুক্তভুগী শিক্ষার্থী আমাদের কাছে অভিযোগ করলে এ্যান্টি র‌্যাগিংয় কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.