নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং বা বুলিং বর্বর এবং ফৌজদারি অপরাধ। এজন্য শিক্ষঙ্গন বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো মূল্যে র্যাগিং বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে উপাচার্যদের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইউজিসি অডিটরিয়ামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তথ্য অধিকার ও কর্মপরিকল্পনা সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণে তিনি এ কথা বলেন। কমিশনের জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউজিসি সদস্য ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের ও সচিব ড. ফেরেদৌস জামান।
প্রধান অতিতির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং হবে একটা সময়ে এটা কল্পনাতীত ছিল। এখন সংবাদপত্রে র্যাগিংয়ের খবর প্রায়ই প্রকাশিত হচ্ছে। এটা দুঃখজনক ও বর্বরোচিত ঘটনা। ২০ থেকে ২৫ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন র্যাগিং ছিল না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহমর্মিতা ও সৌজন্যবোধ ছিল। ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকত। বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তবুদ্ধি চর্চার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট স্থান।
তিনি আরও বলেন বর্তমানে ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধে ইউজিসি জিরো টলারেন্স নীতিগ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।
উপাচার্যদের উদ্দেশ্যে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থীদের প্রবেশ শুরু হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রোভোস্ট, প্রক্টর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা যেন সুদৃষ্টি দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি র্যাগিং, নিপীড়ন ও নির্যাতন ঘটনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যেত এবং এর ব্যবস্থা নিত তাহলে আবরার ও ফুলপরির মতো ঘটনা ঘটত না।
প্রফেসর আবু তাহের বলেন, তথ্য অধিকার আইন দেশের একমাত্র আইন যেখানে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে এই তথ্য না দিলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও আইনে বলা আছে। তিনি ব্যতিক্রমী বিষয় ছাড়া সব তথ্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হালনাগাদ করা এবং যাবতীয় তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশে অনুরোধ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য সেবাবক্স স্থাপনের অনুরোধ করেন এবং তথ্য অধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।