ভালোবাসার সংগঠন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (যবিপ্রবিসাস) একে একে পাঁচটি বছর অতিবাহিত করে ফেলেছে, এবার ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। সেই সাথে ভালোবাসার সংগঠন যবিপ্রবিসাস এর সাথে অতিবাহিত হতে যাচ্ছে আমার একটি স্মৃতিময় বছর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (যবিপ্রবিসাস)এর সার্কুলার পাই, সেই সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি ও উত্তীর্ণ হয়ে অবশেষে সাংবাদিকতায় যোগদান করি। সেই যোগদানের সাথে সাথেই আমার পথচলা শুরু হয় যবিপ্রবিসাসের সাথে।
সাংবাদিকতার প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা থেকেই নিজেকে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় নিযুক্ত করি। এখান থেকেই সাংবাদিকতার প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করি। সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই ধীরে ধীরে একজন সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় আছি।
যবিপ্রবিসাসের সাথে একবছরের পথচলায় পেয়েছি সাংবাদিক বড় ভাই ও সহকর্মীদের অফুরন্ত ভালোবাসা। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার খুটিনাটি এখান থেকেই শিক্ষা নেওয়া। সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বিবদ্যালয়ে বিচরন করেছি নিজের মতো, উপভোগ করেছি প্রাণের ক্যাম্পাসের প্রতিটি মুহুর্ত। তারই কিছু মুহুর্ত ও ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগভাগি করছি।
ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা আমাকে শিখিয়েছে মুক্ত বুদ্বি চর্চা ও সাহসিকতার সাথে সকল প্রকার অন্যায়, অত্যাচার ও ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্তহাতে কলম ধরার। পেয়েছি সামাজিক কাজের অপার সুযোগ।নিজের ক্যাম্পাসের ভালোদিক ও সফলতা গুলো গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানানোর যে আনন্দ তা শুধু ক্যাম্পাস সাংবাদিক রা উপভোগ করতে পারে সেই সুযোগ পেয়েছি যবিপ্রবিসাসের সাথে থেকে৷
পাশাপাশি এটাও উপলব্ধি করেছি সত্য, সততা, নির্ভীকতায় যবিপ্রবিসাসের সদস্যরা সব সময় বস্তুনিষ্ঠ, দক্ষতা, সর্বোপরি নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
তবে পথচলার শুরু টা সহজ হলেও এখন পর্যন্ত এসে মনে হচ্ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের শুভাকাঙ্ক্ষীরও অভাব নেই আবার শত্রুরও কমতি নেই। সংবাদ প্রকাশের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জন ক্ষুব্ধ হয়। কিন্তু অনিয়ম দূর্নীতিকে সবার সামনে তুলে ধরাই আমাদের (ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের) দায়িত্ব। আর এর মাধ্যমেই আমরা আমাদের মাতৃতুল্য ক্যাম্পাসকে আগলে রাখার চেষ্টা করি।
আরো একটি ভালো দিক উপভোগ করতে পেরেছি ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আদ্যোপান্ত মোটামুটি জানা হয়ে গেছে । কারণ নিউজের প্রয়োজনে আবাসিক হলের স্টাফ থেকে শুরু করে ভিসি অফিস পর্যন্ত প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করতে হয়। ফলে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার মাধ্যমে সবার সঙ্গে সহজে মেশার একটা সুযোগ তৈরি হয়। যা অন্যদের সহজে সম্ভব হয় না।
আমার সাংবাদিকতার পথচলার সারথি যবিপ্রবিসাসের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে বলতে চাই যবিপ্রবিসাস এগিয়ে যাবে অনেক দূর, পৌঁছে দিবে যবিপ্রবির সকল সংবাদ গণমানুষের কাছে ৷ শুভাকাঙ্ক্ষী হবে যবিপ্রবির সকল ভালো কাজের ও সত্যের ঝান্ডা হাতে তুলে নিবে সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে।
মোতালেব হোসাইন, সদস্য, যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি