The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ২২শে অক্টোবর, ২০২৪

‘গুচ্ছে মাইগ্রেশন বহাল চাই’ প্ল্যাকার্ডে গুচ্ছে ভর্তিচ্ছুদের মানববন্ধন

সাকিবুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি: দেশের ২২ টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রমে আসন খালি থাকা সাপেক্ষ সর্বোচ্চ সংখ্যক মেরিট ও মাইগ্রেশন তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গুচ্ছে ভর্তিচ্ছু চার শিক্ষার্থী মানবন্ধন করেন। এরা হলেন, ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান, সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী মাহবুব ইসলাম, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী নাদিয়া নওরিন। রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট একটি স্মারকলিপিও প্রদান করবেন বলে জানান তারা।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া চলমান এবং সম্প্রতি তিনটি মেরিট এবং দুইটি মাইগ্রেশন প্রকাশ করেছে। জিএসটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে সিট খালি থাকা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি মাইগ্রেশন এর মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। ইতোমধ্যেই কয়েকটা ভার্সিটি চূড়ান্ত ভর্তির তারিখ এবং ক্লাস শুরুর তারিখ জানিয়েছে। প্রত্যেক বছর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয় এবং যেখানে তাদের পছন্দের সাবজেক্ট পেয়ে যায় ভর্তির জন্য সেটাকেই নির্বাচন করে। এ বছর ও এর ব্যতিক্রম নয়।

তারা আরও বলেন, বর্তমানে ঢাবি, রাবি, বুয়েট, ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছসহ এরকম আরও কয়েকটা ভার্সিটিতে সাবজেক্ট চয়েজের রেজাল্ট দিচ্ছে। অনেকেই তাদের পছন্দের সাবজেক্ট পেয়ে গুচ্ছের প্রাথমিক ভর্তি বাতিল করছে এবং সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো বুধবার কৃষি গুচ্ছের ফলাফল হয়েছে। কৃষিগুচ্ছের ফলাফলের পর আরও অনেকেই গুচ্ছ থেকে ভর্তি বাতিল করবে এবং অনেক সিট ফাঁকা হবে। যা পূরণের জন্য মেরিট এবং মাইগ্রেশন চালু রাখার কোনও বিকল্প নেই।

তারা বলেন, এখনই যদি মেরিট এবং মাইগ্রেশন বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের অসুবিধা হবে। তারা তুলনামূলক ভালো মার্ক নিয়ে ভালো ভার্সিটিতে ভালো সাবজেক্ট পাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি খালি সিট পূরণ করার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দেয় তখন ভার্সিটি মাইগ্রেশনটা অনেক জটিল হয়ে যাবে। যার ফলে অনেকেই পছন্দের ভার্সিটি ও বিষয় পাবে না। চূড়ান্ত ভর্তি হয়ে গেলে এবং ক্লাস শুরু হলে পরে যারা সাবজেক্ট পাবে তাদের অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে।

তারা বলেন, ভার্সিটি মাইগ্রেশন চালু না থাকলে অনেক ভালো মার্ক পেয়েও পছন্দের সাবজেক্ট পাবে না। আবার তুলনামূলক কম মার্ক পেয়েও অনেকে ভালো ভার্সিটির ভালো সাবজেক্ট পেয়ে যাবে যেটা এক ধরনের বৈষম্য। সিট খালি থাকা সত্ত্বেও গুচ্ছ যদি মেরিট এবং মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়বে। অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানে হতাশা এবং মানসিক কষ্টে দিনাতিপাত করছে যা একজন শিক্ষার্থীর জন্য দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির কারণ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মাইগ্রেশনের বিষয়টি আমার একার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়। কমিটির পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’

তিনি বলেন, গত বছর অনেক মাইগ্রেশন দেয়ায় সময় নষ্ট হয়েছে। আমরা এখন দ্রুত ক্লাস শুরু করতে চাচ্ছি। ইতিমধ্যে ৯৫ শতাংশ ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপেই ৭৫ শতাংশ ভর্তি হয়েছে। চূড়ান্ত ভর্তি শেষে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস শুরু করতে চাচ্ছি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.