বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি ও জালিয়াতির অভিযোগে কর্তৃপক্ষ ৭ জনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জনসংযোগ দপ্তর থেকে এতথ্য জানানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- মো. এনামুল হক, তিনি মো. তানভীর আহমেদের (রোল ৫৮৩৯৭) হয়ে; মো. বিদ্যুৎ হাসান, তিনি মো. মাইনুল ইসলামের (রোল ৫৬৯৭৯) হয়ে; মো. সোহানুর রহমান, তিনি মো. তাহমিদ বিন সাদমানের (রোল ৮২৪৪০) হয়ে; মো. হোসাইন, তিনি মো. জাহিদ আল হাসান সিয়ামের (রোল ২১৬০২) হয়ে ও মো. স্বপন হোসাইন, তানভীর আহমেদের (রোল ২৪০৯৬) হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
এছাড়া আটককৃত মো. আব্দুর রাকিব (রোল ৪০৯৪৩) প্রকৃত পরীক্ষার্থী হলেও তার রেজিস্ট্রেশনে অন্যের ছবি পাওয়া যায়। আটককৃত অপর পরীক্ষার্থীর বিষয়ে রাবি আইসিটি সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড আসাবুল হক বলেন, আজকে প্রক্সিকাণ্ডে সাত জনকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়। তাদের জিজ্ঞেসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, প্রক্সিকাণ্ডে সাত জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ও আরেকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, রাবির ভর্তি পরীক্ষা যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজকে যে প্রক্সিকাণ্ডে মোট সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের পেছনে বড় একটি গ্রুপ কাজ করছে। এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি সদস্যদের আটকের চেষ্টা করবো আমরা। আমাদের আগের মামলায় যাদের নাম রয়েছে তাদের কিছুটা নামের মিল পাচ্ছি। আমাদের জায়গা থেকে আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত করবো। একজন নিরপরাধী যেন সাজা না পায়, অপরাধী যেন পার না পায় সেদিকে আমরা অবশ্যই নজর রাখবো। তারা যে গ্রুপের হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।