জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ (২০২২-২৩) স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় শিফট পদ্ধতি বহাল রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ তম ব্যাচের সোহাগী সানিয়া বলেন, ‘শিফট পদ্ধতির বৈষম্যমূলক পরীক্ষাপদ্ধতি বাতিলের জন্য বারবার বলেছি। ফরমের দাম কমাতে আমরা দাবি জানিয়েছি। আমাদের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছিল শিফট কমিয়ে দুটিতে করা হবে। অথচ এখন তারা আগের সিদ্ধান্তেই বহাল রয়েছে।’
বাংলা বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আ র ক রাসেল বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় লুটপাট করা হয়। সাধারণ মানুষের পকেট কাটা হয়। আমরা আগে থেকে বলে আসছি বিতর্কিত শিফট পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে। এর কারণে মেধার বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে।’
এ সময় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, ‘হতাশার সঙ্গে বলতে হচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার বিপরীতে অর্থ উৎপাদনকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকরা শিক্ষা প্রদানের চেয়ে অর্থ উপার্জনকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভর্তি পরীক্ষা কোনও ‘জুয়া খেলা’ নয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আশপাশে থাকা স্কুল-কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। প্রশাসন চাইলে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (জাবি শাখা) সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘প্রতিবারই শিফট পদ্ধতির বৈষম্য নিয়ে আমরা দাঁড়িয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় বারবার আমাদের আশ্বাস দিয়েছে বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার। অথচ শেষে তারা নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল। অনেক শিক্ষার্থী এই বৈষম্যের কারণে এখানে ভর্তি হতে পারেন না। ভর্তি-বাণিজ্যের এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে।’
এছাড়াও মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ একাত্মতা প্রকাশ করে। পরে মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।
উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবু হাসান তা গ্রহণ করেন এবং উপাচার্যের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।