তিমির বনিক, মৌলভীবাজারঃ একটানা তাপপ্রবাহের পর মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে বৃষ্টি হওয়ায় মানুষের মাঝে স্বস্তি যেমন তেমনি বাঁধ ভাঙা খুশি ফিরে এসেছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে জেলাজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জেলাজুড়ে ঝড় শুরু হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তবে এতে আবহাওয়া ঠাণ্ডা হতে শুরু করে। তাপমাত্রাও কমে আসে ক্রমাগত।
গত কয়েকদিন ধরে জেলাজুড়ে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠা-নামা করেছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. মুজিবুর রহমান।
এদিকে তাপপ্রবাহের দিনগুলোতে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছিল। অপরদিকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে মৌলভীবাজারের ৯৩টি চা বাগানের মধ্যে কিছু চা বাগানে কিছু কিছু গাছের পাতা জ্বলে গেছে। গত ১৯ এপ্রিল জুড়ি উপজেলার হাকালুকি হাওরে প্রখর রোদে কৃষিজমিতে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। দীর্ঘ তাপ প্রবাহের পর বৃষ্টির দেখা পেয়েছেন মৌলভীবাজার জেলাবাসী।
কমলগঞ্জ উপজেলার মাঝেরছড়া এলাকার লেবু ও আনারস বাগানের মালিক শাহেদ আহমদ বলেন, তাপপ্রবাহে বৃষ্টির জন্য মানুষের হাহাকার শুরু হয়েছিল। গরমে শিশু ও বয়স্কদের খুবই কষ্ট হচ্ছিল।
তিনি আরো বলেন, এর আগে দুই-এক উপজেলার হালকা বৃষ্টি হলেও অন্যান্য এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়নি। শুক্রবার দুপুর থেকে পুরো জেলাজুড়ে এই বৃষ্টি আমাদের স্বস্তি দিয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক জানান, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমাদের দেশে পড়েছে, যার ফলে এই দাবদাহ। এই অবস্থা মোকাবেলা করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে চা বাগান মালিকদের। বিশেষ করে চা বাগানে যে সমন্বিত পদ্ধতি রয়েছে তা মেনে চলতে হবে। আজ বৃষ্টি হওয়াতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। আজ ঈদের দিন সকাল থেকে তাপপ্রাবাহ না বাড়লেও স্বাভাবিক অবস্থায় চা চলমান আছে। তেমন একটা বিশেষ বদল হয়নি পরিবেশর।