মায়ের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে গত বছর নিজের ধানের জমিতে ফুটিয়ে তুলেছিলেন ‘মা’ লেখা। এবার দেশের প্রতি ভালোবাসায় ধানের জমিতে ধানের চারা দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন জাতীয় পতাকার আদলে শস্যচিত্র। তার ধানের জমিতে জাতীয় পতাকা দৃশ্যমান হয়েছে। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কৃষক এনামুল হক এমন অসাধরণ কাজ করে আলোচনায় এসছেন।
মাওনা-গফরগাঁও-বরমী আঞ্চলিক সড়কের টেংরা বাজারের পাশে ধানের জমিতে ধান গাছ দিয়ে তৈরি জাতীয় পতাকা দেখে চোখ আটকে যায় পথচারীদেরও। গত বছর একই সময়ে তিনি তার এ জমিতেই ধান গাছ দিয়ে লিখেছিলেন ‘মা’।
দেখা যায়, জমিতে ধান গাছ দিয়ে তৈরি করা জাতীয় পতাকার চতুর্ভুজের বেশিরভাগ জায়গাজুড়ে বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের সবুজ রঙের ধান গাছ লাগানো হয়েছে। মধ্যে জাতীয় পতাকার বৃত্ত তৈরি করা হয়েছে জিঙ্ক সমৃদ্ধ বেগুনি রংয়ের ধান গাছ দিয়ে। পতাকার খুঁটিতে ব্যবহার করা হয়েছে সবুজ রঙের ধান গাছ। এরপর পতাকার অংশটুকু নজরকাড়া ও দৃশ্যমান রাখতে পুরো জমিতে বেগুনি ধান রোপণ করা হয়েছে। স্বাধীনতার মাসে জাতীয় পতাকা দৃশ্যমান হওয়ায় অনেকেই তা দেখতে আসছেন। ছবি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এনামুল হক জানান, দুই বছর আগে তিনি তার এক বিঘা জমিতে জিঙ্ক সমৃদ্ধ বেগুনি ধান রোপণ করেন। সে বছর ফলনও ভালো হয়। এটা দেখে তার মাথায় ভিন্নধর্মী চিন্তা আসে। এরপর তিনি মায়ের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে ধানক্ষেতে নান্দনিকভাবে ফুঁটিয়ে তুলেন ‘মা’। সে সময় দর্শনার্থীরা সেই মা লেখা শস্যচিত্র দেখে প্রশংসাও করেন। সেই উৎসাহ থেকে এ বছর জাতীয় পতাকার শস্যচিত্র তৈরির উদ্যোগ নেন।
তিনি জানান, প্রথমে সুতা দিয়ে মেপে জমিতে জাতীয় পতাকার গঠন তৈরি করেন। এরপর সেই অনুযায়ী রোপণ করেন দুই জাতের ধানের চারা। দেশ ও জাতীয় পতাকার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে তার এই আয়োজন।