সোহানুর রহমান, রাবিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) হলের ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন সংগঠনের সদস্যরা।
রোববার (০৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় এ সংগঠনটির সাথে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা যোগদান করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের সবকিছুই এখন উর্ধ্বগতিতে বাড়ছে। যেখানে বর্তমান সময়ে বেঁচে থাকাই কঠিন হচ্ছে সেখানে আমাদের হল ভর্তি ফি অনেকাংশে বাড়িয়েছে হল প্রশাসন। অযৌক্তিকভাবে এতোটা ফি বাড়ানো হয়েছে যে আজকে আমাদের ক্লাসরুম ত্যাগ করে আমাদের এখানে দাঁড়াতে হয়েছে। কোথায় আমরা ১ হাজার টাকার মতো ফি দিয়ে হলে ভর্তি হতে পারতাম আর এখন হঠাৎ করে ১৮০০ টাকা বাড়িয়ে ২৮০০ টাকা করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের কথা ভাবা উচিত এটা হয়তো প্রশাসনের মাথায় থাকে না। বর্তমান প্রশাসন নাকি আবার শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন।
ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক বলেন, এখন ফর্ম ফিল আপ এর টাকা দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তারমধ্যে আবার হলের টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতো টাকা হল ফি দিয়ে হলে ভর্তি হওয়া আমাদের জন্য দুর্বিষহ হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। প্রশাসন আমাদের এ বিষয়টা নজরে রাখবে বলে আমি আশাবাদী।
বাংলা বিভাগ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অপু বলেন, আমাদের দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন সংরক্ষণশীল হতে কিন্তু আমাদের হলের উন্নয়ন ফি ৩ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতো টাকা হল ফি কোন যৌক্তিকতায় তারা বাড়িয়েছেন আমার বোধগম্য না। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হলের ফি আগের ন্যায় রাখার জন প্রশাসনের কাছে আহবান জানাচ্ছি। না কমানো হলে মতিহারের এসবুজ চত্তর আবারো উত্তপ্ত হবে।
স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মুজাহিদ হাসান বাবু বলেন, ১ম বর্ষের হল সংযুক্তি ফী বৃৃদ্ধির যে সিন্ধান্ত নিয়েছে হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদ। আমরা চাই এ সিদ্ধান্ত দ্রুত বাতিল করে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। স্টুডেন্ট রাইট অ্যাসোসিয়েশন প্রত্যাশা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবান্ধব প্রশাসন বরাবরের মত এই যৌক্তিক দাবী মেনে নিয়ে ছাত্রদের কল্যানে ভুমিকা রাখবে।
এদিকে মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, ছাত্র উপদেষ্টা এবং প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহবায়ককে স্মারকলিপি প্রদান করেন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়শন সংগঠনের সদস্যরা। এসময় মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।