বাউয়েট প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ক্যাম্পাসে হাল্ট প্রাইজ-২০২৩ ক্যাম্পাস রাউন্ডের গ্রান্ড ফাইনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েটে) আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘হাল্ট প্রাইজ ২০২৩’ এর অন ক্যাম্পাস রাউন্ডের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং এ আয়োজিত ফাইনালে ২৪টি দল অংশগ্রহণ করে। ফাইনাল রাউন্ডে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম পয়জন পিল, ১ম রানার্স আপ হয়েছে টিম জিরো, ২য় রানার্স আপ হয়েছে টিম দূর্বার।
হাল্ট প্রাইজ বাউয়েটের অন ক্যাম্পাস প্রোগ্রামে অ্যাডভাইজার হিসেবে ছিলেন – কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ভূঁঞা এবং প্রভাষক বৃষ্টি রানী রায়।
এবারের প্রোগ্রামে ক্যাম্পাস ডিরেক্টর ছিলেন সিএসই ৮ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আসিফ ইশতিয়াক। হাল্ট প্রাইজ ২০২৩ এর প্রতিযোগিতার বিষয় হচ্ছে‘রি-ডিজাইনিং ফ্যাশন।
প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার একাডেমিক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: আশরাফুল ইসলাম। প্রোগ্রামটি দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম পর্বে প্রতিযোগীরা তাদের আইডিয়া বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করেন। ২য় পর্বে অনলাইনে প্রতিযোগীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন টেক-স্টার্টআপ পাঠাও এর কো ফাউন্ডার ও হেড অফ প্রডাক্ট আহমেদ ফাহাদ।
ফাইনালে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (রুয়েট) এর সিএসই বিভাগের প্রভাষক মো: আজমাইন ইয়াকিন সৃজন, এমটিই ডিপার্টমেন্ট এর প্রভাষক মো: মেহেদী হাসান, পেন্টেস্টার স্পেস এর কো-ফাউন্ডার অ্যান্ড সি.ও.ও ইব্রাহিম খলিল এবং এক্সাম হিরোর কো ফাউন্ডার সামরান রহমান। উক্ত আয়োজনে স্পন্সর হিসেবে ছিল সাকিব ওয়াহিদ এবং নলেজ পার্টনার হিসেবে ছিলেন এক্সাম হিরো।
উল্লেখ্য, হাল্ট প্রাইজ হলো শিক্ষার্থীদের নোবেল খ্যাত বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা যা প্রতিবছর বিশ্বের ১০০ এর অধিক দেশে আয়োজিত হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতাটি জাতিসংঘ, ক্লিনটন ইনিশিয়েটিভস (আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এর সংস্থা) এবং হাল্ট ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল যৌথভাবে আয়োজন করে থাকে। এর মাধ্যমে জাতিসংঘ চিহ্নিত সমস্যার সমাধান এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বিজয়ীদের ১ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮ কোটি টাকা) পুরস্কার প্রদান করা হয়।