দক্ষিণ আফ্রিকায় চলছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথম দুই ম্যাচই শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে বাংলাদেশ।
দলের এমন বাজে সময়ে সামনে এলো আরো এক বিস্ফোরক খবর। বিশ্বকাপ দলে থাকা বাংলাদেশের লতা মণ্ডলকে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে!
তবে আরো বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, লতাকে প্রস্তাব দিয়েছেন বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পাওয়া তারই সতীর্থ সোহেলী আক্তার!
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টিভি এই ফিক্সিং প্রস্তাবের ফোনালাপ ফাঁস করেছে।
ফাঁস হওয়া অডিওতে শোনা যায় সোহেলী লতাকে বলছেন, ‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি তোমার কোনো ক্ষতি করব না। তোমার যখন ইচ্ছা হবে ফিক্সিং করবে। যখন চাইবে না, করবে না। কোন ম্যাচে ফিক্সিং করবে, সেটা তোমার ব্যাপার।
আলাপের এক পর্যায়ে সোহেলী বলেন, ধরো তুমি একটা ম্যাচে ভালো খেললে। তাহলে পরের ম্যাচে ফিক্সিং করতে পারো। তুমি স্টাম্প-আউট বা হিট উইকেট হতে পারো। যদি ২০-৩০ লাখের বিনিময়ে হিট উইকেট হতে অসুবিধা থাকে, তবে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে স্টাম্প-আউট হতে পারো। তোমার যদি এটা কম মনে হয়, তবে বলতে পারো। আমি ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলব। মনে রেখো, এটা কথাটা শুধু তোমার-আমার মধ্যে থাকবে।’
তবে লতা মণ্ডল এই লোভের ফাঁদে পা দেননি। তিনি স্পষ্ট বলে দেন, ‘বান্ধবী আমি এগুলোর মধ্যে নাই। তুমি আমাকে এগুলো বইলো না। এগুলো আমাকে দিয়ে কখনো হবে না। আমাকে এসব বইলো না, প্লিজ।’
লতা মণ্ডল আইসিসির নিয়মানুযায়ী ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের কথা বিসিবিকে জানিয়ে দেন। বিসিবির পক্ষ থেকেও দ্রুত আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখাকে অবহিত করা হয়।
এদিকে সোহেলী আক্তার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তার দাবি, ‘আকাশ’ নামের এক জুয়াড়ির কাছ থেকে তিনি প্রস্তাব পেয়ে লতার সঙ্গে কেবল মধ্যস্থতা করেছেন। এ কাজ করে কোনো ভুল করেননি বলেও দাবি করেন সোহেলী।
এদিকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ‘আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন ইউনিটই এ বিষয়টি দেখভাল করছে। আমাদের খেলোয়াড়রা খুবই ওয়াকিবহাল যে তাদের কী করতে হবে আর কী করতে হবে না। যদি ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব আসে তাদের কাছে, তাহলে সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিক যে আইসিসি এসিইউকে (আকসু) জানাতে হবে, সে ব্যাপারে তারা জানে।