পাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ এবং বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (৫ই ফেব্রুয়ারি) সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ভবনের ভার্চুয়াল রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এস মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন এবং বিওআরআই-এর মহাপরিচালক সৈয়দ মাহমুদ বেলাল হায়দার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. রাহিদুল ইসলাম রাহি।
সমঝোতা স্মারক চুক্তির আওতায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সমুদ্র সংক্রান্ত গবেষণা কাজে বিওআরআই’র সকল ধরনের সহযোগিতা পাবেন। তাদের গবেষণাকর্মও এক সাথে প্রকাশ করা হবে। সমঝোতার স্মারকের মাধ্যমে এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণা করতে পারবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন সায়েন্স স্থাপন করেন। যেটি সমুদ্র নিয়ে গবেষণাকারী প্রথম প্রতিষ্ঠান, যারা এখনো কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের বঙ্গোপসাগরে সম্পদের ব্যাপক প্রাচুর্য রয়েছে। সেই সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগানোর জন্য সরকার ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপন করেছে। এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা খুবই উপকৃত হবেন। তারা সমুদ্র নিয়ে গবেষণা করতে পারবেন। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে উন্নত, দক্ষ হবেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন এবং বিওআরআই-এর পক্ষে মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সৈয়দ মাহমুদ বেলাল হায়দার সমঝোতা স্মারকে স্মাক্ষর করেন।
এছাড়া এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ূন কবির, রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ের রেজাউর রহিম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিবুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক মেহেদী হাসান, রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য বিওআরআই হলো সমুদ্র নিয়ে গবেষণাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সরকার ২০১৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করে। ২৭ জন সমুদ্র বিজ্ঞানী এর গবেষণা কাজের সাথে জড়িত আছেন।