সাঈদ মঈন: আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নিয়মিত মাস্টার্স কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় হতে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরাও। ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ হতে এ নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। গেলো বছরের ৩০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেই সভায় শর্ত সাপেক্ষে নিয়মিত মাস্টার্সকে সবার জন্য উন্মুক্ত করার সুপারিশ করে ডিনস কমিটি। সেই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ঢাবির মাস্টার্স কোর্সকে সবার জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সম্প্রতি ভর্তিচ্ছুদের জন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্নাতকে কমপক্ষে সিজিপিএ ৩.২৫ ধারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এসএসসি ও এইচএসসিতে থাকতে হবে নূন্যতম জিপিএ। এছাড়া ১০০ নম্বরের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য আজীবন শেখার সুযোগ তৈরি করতে চাই। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ইউজিসি দ্বারা অনুমোদিত। তাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক প্রোগ্রাম সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতে করে শিক্ষার্থীরা তাঁদের পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন।’
আগে শুধুমাত্র ঢাবির শিক্ষার্থীরাই গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ঢাবির নিয়মিত মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারতেন। বহিরাগত শিক্ষার্থীদের জন্য এতোদিন শুধু সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তির সুযোগ ছিল।
ঢাবির ৮৩টি বিভাগ ও ১৩টি ইনস্টিটিউটে মাস্টার্সের জন্য আসন রয়েছে ৬ হাজার ২৭০টি। ঢাবি শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিদেশে গমণ কিংবা চাকরিতে যোগ দেওয়ার কারণে স্নাতক সম্পন্ন করার পর মাস্টার্সে ভর্তি হন না। ফলে, কিছু সংখ্যক আসন ফাঁকা থেকে যায়। নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ায় এখন কোনো আসন ফাঁকা থাকলে ফাঁকা আসন পূরণ করতে বিজ্ঞাপন দেয়া হবে। আবেদনকারীদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ফাঁকা আসনে তাদের ভর্তি করা হবে। ফলে, বহিরাগত শিক্ষার্থীরা এখন থেকে সান্ধ্যকালীন কোর্সের পাশাপাশি নিয়মিত কোর্সেও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।