দেয়ালে ফাটল, খসে পড়েছে পলেস্তারা, ভাঙা পিলার, ছাদে ভাঙা টিন, নেই দরজা-জানালা। দূর থেকে দেখে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ ভবন মনে হলেও আসলে এটি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের ১৬২নং নিজ গাছতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির এমনি করুণ দশা। এই জরাজীর্ণ ভবনেই পাঠদান চলছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। জং ধরা রডগুলো বের হয়ে আছে। অনেক স্থানে ফাটল ধরেছে। ৩টি শ্রেণি কক্ষের মধ্যে ১টি পাশের দেয়াল ধ্বসে পড়ে মাটিতে মিশে গেছে বহু আগেই। আর অবশিষ্ট ২টি শ্রেণিকক্ষের ভাঙা দরজা, নেই জানালা। ফলে দক্ষিণ বাতাসের সঙ্গে ভেসে আসছে গোয়ালের দুর্গন্ধ। মাথার ওপর টিনের চাল কোথাও আছে, কোথাও ফুটো, আবার কোথাও একেবারেই নেই। অনেক কক্ষের দরজা-জানালা নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি চুইয়ে পড়ে ভবনের ভেতরে। এই সব শ্রেণিকক্ষ নিয়ে যেমন শঙ্কায় দিন পার করছে শিক্ষার্থীরা, তেমনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে নিজ গাছতলা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ছোট্ট একটি অফিস রুমসহ টিনসেড ভবন নিয়েই রেজিস্টার্ড স্কুল থেকে ২০১১ সালে জাতীয়করণ করে সরকার। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যেও সংস্কার না করায় ভবনটির শ্রেণিকক্ষগুলো বর্তমানে একেবারেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত একজন প্রধান শিক্ষক ও চারজন সহকারী শিক্ষক পাঠদান করছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে তাদের ভয় করে। কখন কোন দেয়াল ভেঙে পড়ে এই আতঙ্কে থাকে তারা। পলেস্তারা ভেঙে ধুলাবালি চোখে ও গায়ে পড়ে। পড়াশোনা করতে খুব সমস্যা হয়।