The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪

১০ দফা দাবি নিয়ে জবি উপাচার্যের সাথে শিক্ষার্থীদের বৈঠক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নসহ ১০ দফা দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক মন্তব্য করে সেগুলো বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন ও এস্টেট কর্মকর্তা কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের শুরুতে শিক্ষার্থীরা তাদের ১০ দফা দাবি পেশ করেন। এর উত্তরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, তোমাদের যে দাবিগুলো আছে সেগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরাও চাই কাজ যেন দ্রুত হয়। বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। মাস্টারপ্লান হয়ে গেলে সেনাবাহিনীর কাছে যেন হস্তান্তর করা যায়, তার জন্য কথা বলেছি।

উপাচার্য আরো বলেন, ক্যাম্পাসের কাজ যেন দ্রুত গতিতে হয় ও সেসকল সমস্যা রয়েছে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমরা গত আগস্টে চিঠি দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবির পর আবারও কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সামনের বিদেশ সফর শেষে আমরা আগামী অক্টোবর ৩ তারিখের পর দেখা করার সুযোগ পাব। সেখানে প্রথম প্রাধান্য থাকবে সেনাবাহিনীকে যেন প্রকল্পের কাজ হস্তান্তর করা যায়। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ যেন দ্রুত হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি। যেদিনই ক্যাম্পাস পরিদর্শন করতে যাওয়া হবে, তখন শিক্ষার্থীরা চাইলে যেতে পারবে। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা নতুন ক্যাম্পাসে থানার জন্য আবেদন করেছি। প্রয়োজনে তার সঙ্গে কথা বলে অতিদ্রুত থানার জন্য আলোচনা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে যাদের কাজের পারফর্মেন্স সন্তোষজনক নয়, তাদের যেন টেন্ডার না দেয়া হয়। আমরা তাই করেছি। এটা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। দেখা যাক সামনে কি হয়। নতুন ক্যাম্পাসের কাজ যেন দ্রুত গতিতে হয়, সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হবে।

এদিকে ১০ দফা দাবির বিষয়ে বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা উপাচার্যের কাছে আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, আগামী ৩ অক্টোবরের পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমাদের দাবির কথা তুলে ধরবেন। তিনি শিডিউল নিয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীরাও সেই বৈঠকে থাকতে চাই, সেটা জানিয়েছি। এছাড়া সেই বৈঠকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের অগ্রগতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত না আসলে আমরা আবার কঠোর আন্দোলনে যাবো।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. ১০ দফা দাবি নিয়ে জবি উপাচার্যের সাথে শিক্ষার্থীদের বৈঠক

১০ দফা দাবি নিয়ে জবি উপাচার্যের সাথে শিক্ষার্থীদের বৈঠক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নসহ ১০ দফা দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক মন্তব্য করে সেগুলো বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন ও এস্টেট কর্মকর্তা কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের শুরুতে শিক্ষার্থীরা তাদের ১০ দফা দাবি পেশ করেন। এর উত্তরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, তোমাদের যে দাবিগুলো আছে সেগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরাও চাই কাজ যেন দ্রুত হয়। বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। মাস্টারপ্লান হয়ে গেলে সেনাবাহিনীর কাছে যেন হস্তান্তর করা যায়, তার জন্য কথা বলেছি।

উপাচার্য আরো বলেন, ক্যাম্পাসের কাজ যেন দ্রুত গতিতে হয় ও সেসকল সমস্যা রয়েছে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমরা গত আগস্টে চিঠি দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবির পর আবারও কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সামনের বিদেশ সফর শেষে আমরা আগামী অক্টোবর ৩ তারিখের পর দেখা করার সুযোগ পাব। সেখানে প্রথম প্রাধান্য থাকবে সেনাবাহিনীকে যেন প্রকল্পের কাজ হস্তান্তর করা যায়। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ যেন দ্রুত হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি। যেদিনই ক্যাম্পাস পরিদর্শন করতে যাওয়া হবে, তখন শিক্ষার্থীরা চাইলে যেতে পারবে। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা নতুন ক্যাম্পাসে থানার জন্য আবেদন করেছি। প্রয়োজনে তার সঙ্গে কথা বলে অতিদ্রুত থানার জন্য আলোচনা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে যাদের কাজের পারফর্মেন্স সন্তোষজনক নয়, তাদের যেন টেন্ডার না দেয়া হয়। আমরা তাই করেছি। এটা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। দেখা যাক সামনে কি হয়। নতুন ক্যাম্পাসের কাজ যেন দ্রুত গতিতে হয়, সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হবে।

এদিকে ১০ দফা দাবির বিষয়ে বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা উপাচার্যের কাছে আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, আগামী ৩ অক্টোবরের পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমাদের দাবির কথা তুলে ধরবেন। তিনি শিডিউল নিয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীরাও সেই বৈঠকে থাকতে চাই, সেটা জানিয়েছি। এছাড়া সেই বৈঠকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের অগ্রগতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত না আসলে আমরা আবার কঠোর আন্দোলনে যাবো।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন