বকেয়া টাকা পরিশোধ না করলে ‘হালখাতা খেলাপি’ আখ্যা দেওয়া হবে বলে সতর্ক করে এলাকায় মাইকিং করেছেন সাতক্ষীরার এক সিমেন্ট ব্যবসায়ী। হালখাতার চিঠি দেওয়ার পরেও পাওনা টাকা না পেয়ে অভিনব এই পন্থা অবলম্বন করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে নিজ দোকানে বসে মাইকিং করে এমন ঘোষণা দিতে দেখা যায় ব্যবসায়ী শিমুল হোসেনকে।
উপজেলা সদরের সিমেন্ট ব্যবসায়ী শিমুল হোসেন কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন। চলতি বছরে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক লাখ টাকার সিমেন্ট বাকিতে চলে যায়।
হালখাতার সময় সব টাকা পরিশোধ করবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিমেন্ট বাকিতে নেন ক্রেতারা। কিন্তু হালখাতায় টাকা আদায় না হওয়ায় সিমেন্ট ডিলারদের টাকা পরিশোধ নিয়ে তিনি চিন্তিত শিমুল হোসেন।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী শিমুল হোসেন বলেন, ‘মুদি দোকানের পাশাপাশি পাইকারদের কাছ থেকে সিমেন্ট কিনে খুচরায় বিক্রি করি। ৭ ডিসেম্বর আমার প্রতিষ্ঠানে হালখাতার দিন ধার্য ছিল। হালখাতার আগেই যাদের কাছে টাকা বকেয়া আছে তাদের চিঠি দিয়ে দাওয়াত দিয়েছি। কিন্তু বেশিরভাগ খরিদ্দার আমাকে টাকা পরিশোধ করেননি।
একারনে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে একটু ভিন্ন উপায়ে মাইকে ‘হালখাতা খেলাপি’ প্রচারের মাধ্যমে কাস্টমারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আসলে ব্যবসা করতে এসে আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে এ পথ বেছে নিয়েছি।
ব্যবসায়ী শিমুল হোসেন বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করলে বলে ‘ঋণখেলাপি’। তাহলে আমার দোকান থেকে বাকি নিয়ে যারা শোধ করবে না তাদের আমি ‘হালখাতা খেলাপি’ বলবো। টাকা না পেলে আমি আগামীতে ‘হালখাতা খেলাপি’ ক্রেতাদের নাম মাইকিং করবো। যেন তাদের কাছে অন্য কেউ বাকিতে মাল বিক্রি না করেন।
তবে মাইকিং করে ব্যবসায়ী শিমুলের বরং লাভই হয়েছে। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তার কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাইকিং করার পর ২৫-৩০ জন টাকা পরিশোধ করেছেন। টাকা আদায় হয়েছে ৫০-৬০ হাজার।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী শাওন আহম্মেদ সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘বর্তমানে অনেক কাস্টমার বাকি নিয়ে টাকা দিতে চান না। ব্যবসায়ী শিমুলের এই অভিনব উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তবে, সব কাস্টমার এমন নয়। তবে অনেকের আর্থিক সমস্যা থাকতে পারে। তাদের সঙ্গে কথা না বলে নাম এভাবে প্রকাশ করা ঠিক হবে না।