The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪

স্ত্রীর করা মামলায় জেল হাজতে ইবি শিক্ষক ড. সঞ্জয়

ইবি প্রতিনিধি: স্ত্রীর জয়া সাহার করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সরকারকে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নাটোর জর্জ কোর্টে বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, ড. সঞ্জয় কুমার সরকারের স্ত্রী জয়া সাহা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন তার বিরুদ্ধে। মামলার ফলে ড. সঞ্জয় কুমার সরকারকে আটক করে পুলিশ জন্য। পরে পারিবারিকভাবে বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য আদালতের নিকট অস্থায়ী জামিনের আবদেন করেন তিনি। পরে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। কিন্তু পরবর্তী ড. সঞ্জয় কুমার বিষয়টি পারিবারিকভাবে নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়। নির্ধারিত সময় পার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হলে তাকে আটক করা হয়। ফলে আদালত তার স্থায়ী জামিন নামঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

জানা যায়, ২০১৫ সালে পারিবারিকভাবে সঞ্জয় ও জয়ার বিয়ে হয়। বিয়েতে জয়ার বাবা যৌতুক হিসেবে ২৫ লক্ষ টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজসহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় ফার্ণিচার দেয়। তবে বিয়েরে পর থেকেই তাদের উভয়ের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মনোমালিন্য শুরু হয়। গত বছরের জুন মাসে স্ত্রীকে জোরপূর্ব শ্বশুরবাড়ি রেখে আসে সঞ্জয়। তারপর থেকে উভয়েই একবছর আলাদা থাকছেন। নির্যাতনের শিকার স্ত্রী জয়া সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নাটোরের উপরবাজার উপজেলার রতন কুমার সাহার বড় কন্যা। এদিকে সঞ্জয় কুমার পাবনা জেলার চড়াডাঙ্গা গ্রামের সুশান্ত কুমার সাহার পুত্র।

এ বিষয়ে ড. সঞ্জয় কুমার সরকারের স্ত্রী জয়া সাহা বলেন, এ বিষয়ে আমার নতুন করে কিছু বলার নাই। আমার ও আমার সন্তানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অমানবিক নির্যাতনের ফলেই তার জেল হয়েছে।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষের আইনজীবী আনিসুর রহমান বলেন, এ্যাডভোকেট আলেক শেখ এই মামলাটি কোর্টে দাখিল করেন। পরে মামলাটির জুডিশিয়াল তদন্ত হয়। তদন্ত শেষে ম্যাজিস্ট্রেট বাদীর (জয়া সাহা) রিপোর্ট দেয়। পরে আসামীর (সঞ্জয় সরকার) বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হলে আসামী গত একমাস আগে আপোষের কথা বলে জামিন নেয়। কিন্তু আপোষ না করার কারণে আজ আদালত এ নির্দেশ দেয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আলেক শেখ বলেন, উনি (সঞ্জয় সরকার) আজকে জামিন চেয়েছিলেন। উনার নামে উনার স্ত্রী (জয়া সাহা) নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছিলেন। আজ সেই মামলায় জামিন নিতে আসলে তাকে জজ সাহেব জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

সঞ্জয় কুমারের আইনজীবী শাহজাহান কবীর বলেন, আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আশা করি তিনি জামিন পাবেন। আমরা আগামী রবিবার আবারো চেষ্টা করবো জামিনের জন্য।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.