The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

প্রথমবারের মত শীতকালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে বেরোবি

বেরোবি প্রতিনিধিঃ গ্রামীণ জনপদে শীত এলেই ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা উৎসব। কিন্তু ব্যস্ত শহরে কিংবা শহুরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষর্থীদের এই পিঠার স্বাদ পেতে দ্বারস্থ হতে হয় ফুটপাত কিংবা কোনো পিঠার দোকানে। তাই বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রথমবারের মত শীতকালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে।

আগামী ৩১ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পযন্ত চলবে এই পিঠাপুলির উৎসব। উক্ত বিষয় টি জানিয়েছেন শীতকালীন পিঠা উৎসব আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক।

প্রথমবারের মত এই উৎসবের আয়োজন হওয়ায় পিঠা উৎসব আয়োজন কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ,হল ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কে অংশগ্রহণে জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিভাগ ও হল সমূহের জন্য আয়োজন কমিটি বিনামূল্যে স্টল বরাদ্দ দিবে।তবে স্টল সাজানো বা ব্যানার এর জন্য পাঁচশত টাকা দিতে হবে। কোনো বিভাগ, হল নিজে এগুলো করতে চাইলে এ ফি প্রযোজ্য নয়।আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, অনন্য সংগঠন (বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন বিভাগের তালিকাভুক্ত) অংশগ্রহন করতে চাইলে বা স্টল ও ব্যানারের জন্য এক হাজার টাকা ফি আয়োজক কমিটিকে দিতে হবে। প্রতিটি স্টল কে কমপক্ষে পাঁচ রকম পিঠার পরিবেশন করতে হবে।প্রতিটি স্টল শুধু একটি টেবিল ও দুটি চেয়ার বসাতে পারবে এবং স্টল গুলোকে দেশীয় সাজে সজ্জিত এবং এ সাজ সজ্জা তিন ফুট পযন্ত করতে পারবে। এ পিঠা উৎসব প্রতিযোগিতায় দুটি বিভাগে পুরস্কৃত করা হবে।পিঠার স্বাদ,সৌন্দর্য ও পরিবেশনা এবং স্টলের সাজ সজ্জার ওপর। যদিও এ উৎসবে অংশগ্রহন বাধ্যতামূলক নয় তবে কেউ অংশগ্রহণ করতে চাইলে চারটি করে পিঠা মূল্যয়ন কমিটির কাছে বিকেল চারটার আগে জমা দিতে হবে। মেলার মধ্যে কোন চুলা জ্বালানো যাবে না, চুলার জন্য নিদিষ্ট স্থান রয়েছে।এছাড়াও পিঠা উৎসবে থাকছে দিনব্যাপী লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দেশীয় শব্দযন্ত্র,তবলা ও হারমোনিয়াম।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক বলেন, পিঠা হলো বাঙালির একটি এতিহ্য আর এই এতিহ্যকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চর্চা করার জন্য সকলের অংশীদারিত্বে আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করতেছি।এ উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশের নানা প্রান্তে থাকা শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ এলাকার পিঠার প্রতিনিধিত্ব করবে এবং অন্যানা এলাকার পিঠার সাথে পরিচিতি হওয়ার সুযোগ পাবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. প্রথমবারের মত শীতকালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে বেরোবি

প্রথমবারের মত শীতকালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে বেরোবি

বেরোবি প্রতিনিধিঃ গ্রামীণ জনপদে শীত এলেই ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা উৎসব। কিন্তু ব্যস্ত শহরে কিংবা শহুরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষর্থীদের এই পিঠার স্বাদ পেতে দ্বারস্থ হতে হয় ফুটপাত কিংবা কোনো পিঠার দোকানে। তাই বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রথমবারের মত শীতকালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে।

আগামী ৩১ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পযন্ত চলবে এই পিঠাপুলির উৎসব। উক্ত বিষয় টি জানিয়েছেন শীতকালীন পিঠা উৎসব আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক।

প্রথমবারের মত এই উৎসবের আয়োজন হওয়ায় পিঠা উৎসব আয়োজন কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ,হল ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কে অংশগ্রহণে জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিভাগ ও হল সমূহের জন্য আয়োজন কমিটি বিনামূল্যে স্টল বরাদ্দ দিবে।তবে স্টল সাজানো বা ব্যানার এর জন্য পাঁচশত টাকা দিতে হবে। কোনো বিভাগ, হল নিজে এগুলো করতে চাইলে এ ফি প্রযোজ্য নয়।আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, অনন্য সংগঠন (বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন বিভাগের তালিকাভুক্ত) অংশগ্রহন করতে চাইলে বা স্টল ও ব্যানারের জন্য এক হাজার টাকা ফি আয়োজক কমিটিকে দিতে হবে। প্রতিটি স্টল কে কমপক্ষে পাঁচ রকম পিঠার পরিবেশন করতে হবে।প্রতিটি স্টল শুধু একটি টেবিল ও দুটি চেয়ার বসাতে পারবে এবং স্টল গুলোকে দেশীয় সাজে সজ্জিত এবং এ সাজ সজ্জা তিন ফুট পযন্ত করতে পারবে। এ পিঠা উৎসব প্রতিযোগিতায় দুটি বিভাগে পুরস্কৃত করা হবে।পিঠার স্বাদ,সৌন্দর্য ও পরিবেশনা এবং স্টলের সাজ সজ্জার ওপর। যদিও এ উৎসবে অংশগ্রহন বাধ্যতামূলক নয় তবে কেউ অংশগ্রহণ করতে চাইলে চারটি করে পিঠা মূল্যয়ন কমিটির কাছে বিকেল চারটার আগে জমা দিতে হবে। মেলার মধ্যে কোন চুলা জ্বালানো যাবে না, চুলার জন্য নিদিষ্ট স্থান রয়েছে।এছাড়াও পিঠা উৎসবে থাকছে দিনব্যাপী লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দেশীয় শব্দযন্ত্র,তবলা ও হারমোনিয়াম।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক বলেন, পিঠা হলো বাঙালির একটি এতিহ্য আর এই এতিহ্যকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চর্চা করার জন্য সকলের অংশীদারিত্বে আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করতেছি।এ উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশের নানা প্রান্তে থাকা শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ এলাকার পিঠার প্রতিনিধিত্ব করবে এবং অন্যানা এলাকার পিঠার সাথে পরিচিতি হওয়ার সুযোগ পাবে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন