The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ৭ই জুলাই, ২০২৪

স্কুলের টয়লেটে আটকে পড়া শিক্ষার্থীর শ্বাসরুদ্ধকর ৬ ঘণ্টা!

স্কুল ছুটি হয়েছে। তাই তাড়াহুড়ো করে সবাই বাড়ি চলে গেছে। বিদ্যালয়ের দপ্তরিও শ্রেণিকক্ষ ও বাথরুমের দরজা বন্ধ করে চলে যান। এর আগেই টয়লেট আটকা পড়ে প্রথম শ্রেণির ছয় বছরের এক শিক্ষার্থী। ছয় ঘণ্টা বাথরুমে আটকা থাকার পর সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯নং পাঁচখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে এ ঘটনা। পরে অসুস্থ অবস্থায় শিক্ষার্থী রাফিন হোসেনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। রাফিন একই এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে। শনিবার বিষয়টি জানাজানি হলে সমলোচনার ঝড় ওঠে এলাকা জুড়ে।

একাধিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে সহপাঠীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ে আসে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফিন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের টয়লেটে যায় সে। শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা থাকার কারণে সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যায়। ছুটির ঘণ্টা পড়লে শ্রেণিকক্ষে থাকা সবাই বাড়িতে চলে যায়। পরে বিদ্যালয়ের দপ্তরি খোকন খান শ্রেণিকক্ষ ও টয়টেলের দরজা তালাবদ্ধ করে চলে যান। এতে টয়লেটের ভেতর আটকা পড়ে প্রথম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে রাফিন। কিন্তু রাফিনের ডাক কেউ শুনতে পায়নি। শিক্ষার্থী দুপুরের পর বাড়িতে না গেলে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া এক পথচারী শিশুটির কান্নাকাটি শুনে কাছে ছুটে যান। পরে টয়লেটের ভেতর শিশুটি আটকা পড়েছে বুঝতে পেরে তালা ভেঙে রাফিনকে উদ্ধার করা হয়। গুরুতর অবস্থায় প্রথম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এ ঘটনা কেউ ইচ্ছাকৃত করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, কেন এমন ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিশুদের সঙ্গে এমন ঘটনা কাম্য নয়।

 

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.