The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

এরদোয়ান এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় দফায় ভোট হতে যাচ্ছে তুরস্কে

আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ একা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন তুরস্কেক জনগন। চলমান আছে ভোট গণনার কাজজ। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য মতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান স্পস্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় খুব সম্ভবত রান-অফ নির্বাচনের ধাপে যাচ্ছে তুরস্কের নির্বাচন।  এই নির্বাচনেই নির্ধারিত হতে চলেছে দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের ভবিষ্যৎ। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, রোববার উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটদান শেষ হওয়ার পর গণনা শুরু হয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৮ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট গণণা সম্পন্ন হয়েছে। এতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান স্পষ্ট ব্যবধানেই এগিয়ে রয়েছেন।

নির্বাচনে এখন পর্যন্ত তার প্রাপ্ত ভোটের হার ৪৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কেলিকদারোগলোর প্রাপ্ত ভোটের হার ৪৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। অন্যদিকে সিনান ওগান নামে তৃতীয় অপর প্রার্থী এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট।

বুথফেরত জনমত জরিপে, এবারের নির্বাচনে দেশটির ছয়-দলীয় জোটের নেতা ও এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কেলিকদারোগলোকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। এছাড়া গত শুক্রবারের দু’টি জনমত জরিপেও সরাসরি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট তিনি পেতে যাচ্ছেন বলে দাবি করা হয়েছিল।

তবে ভোটের মাঠে সকল আগাম জরিপের পরিসংখ্যান উল্টে দিয়ে ভোটে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। অবশ্য নির্বাচনে এগিয়ে থাকলেও কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে বিজয়ী হতে পারবেন না।

এদিকে দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হলে তাতে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কেলিকদারোগলো। খুব সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় কেলিকদারোগলো আরও বলেন, এরদোয়ান এবং তার একে পার্টি তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল পায়নি।

তিনি দাবি করেন, ‘প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জনগণের কাছ থেকে আস্থার ভোট পাননি। সমাজে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ৫০ শতাংশের বেশি।’

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, ‘প্রথম রাউন্ডে নির্বাচন শেষ হতে চলেছে কিনা আমরা জানি না। আমাদের ভোটাররা যদি দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা সেটাকেও সম্মান করব। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা এই রাউন্ডেই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে (নির্বাচনী কর্মকাণ্ড) শেষ করব। এখনও ভোট গণনা বাকি আছে।’

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. এরদোয়ান এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় দফায় ভোট হতে যাচ্ছে তুরস্কে

এরদোয়ান এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় দফায় ভোট হতে যাচ্ছে তুরস্কে

আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ একা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন তুরস্কেক জনগন। চলমান আছে ভোট গণনার কাজজ। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য মতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান স্পস্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় খুব সম্ভবত রান-অফ নির্বাচনের ধাপে যাচ্ছে তুরস্কের নির্বাচন।  এই নির্বাচনেই নির্ধারিত হতে চলেছে দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের ভবিষ্যৎ। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, রোববার উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটদান শেষ হওয়ার পর গণনা শুরু হয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৮ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট গণণা সম্পন্ন হয়েছে। এতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান স্পষ্ট ব্যবধানেই এগিয়ে রয়েছেন।

নির্বাচনে এখন পর্যন্ত তার প্রাপ্ত ভোটের হার ৪৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কেলিকদারোগলোর প্রাপ্ত ভোটের হার ৪৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। অন্যদিকে সিনান ওগান নামে তৃতীয় অপর প্রার্থী এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট।

বুথফেরত জনমত জরিপে, এবারের নির্বাচনে দেশটির ছয়-দলীয় জোটের নেতা ও এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কেলিকদারোগলোকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। এছাড়া গত শুক্রবারের দু’টি জনমত জরিপেও সরাসরি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট তিনি পেতে যাচ্ছেন বলে দাবি করা হয়েছিল।

তবে ভোটের মাঠে সকল আগাম জরিপের পরিসংখ্যান উল্টে দিয়ে ভোটে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। অবশ্য নির্বাচনে এগিয়ে থাকলেও কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে বিজয়ী হতে পারবেন না।

এদিকে দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হলে তাতে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কেলিকদারোগলো। খুব সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় কেলিকদারোগলো আরও বলেন, এরদোয়ান এবং তার একে পার্টি তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল পায়নি।

তিনি দাবি করেন, ‘প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জনগণের কাছ থেকে আস্থার ভোট পাননি। সমাজে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ৫০ শতাংশের বেশি।’

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, ‘প্রথম রাউন্ডে নির্বাচন শেষ হতে চলেছে কিনা আমরা জানি না। আমাদের ভোটাররা যদি দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা সেটাকেও সম্মান করব। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা এই রাউন্ডেই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে (নির্বাচনী কর্মকাণ্ড) শেষ করব। এখনও ভোট গণনা বাকি আছে।’

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন