ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উপর হওয়া হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেছেন, ছাত্রলীগ নয়, রাস্তাঘাট ব্যারিকেড দিয়ে রাখায় সাধারণ জনতা ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের গণধোলাই দিয়েছে। হামলার ঘটনার পর মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় সনজিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সনজিত বলেন, মিথ্যাচার থেকে জন্ম যে রাজনৈতিক দল সেটা হচ্ছে বিএনপি। তাদের অছাত্র-কু-ছাত্র, সন্ত্রাসীদের সংগঠন হচ্ছে ছাত্রদল। তাদের কী কর্মসূচি আছে না নাই, সেটি নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে দেখা করতে পারে, সাক্ষাৎ করতে পারে—সেটি নিয়েও আমাদের কোন মাথাব্যথা নেই।
তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে দাবি-দাওয়া ছিল সেটি উপাচার্যের কাছে পেশ করেছি। আমরা এখানেই অবস্থান করছি। আমাদেরও যে দাবি-দাওয়া ছিল সেগুলোও তুলে ধরেছি। এসময় সৌজন্যমূলকভাবে ভিসি স্যার আমাদের চা খাইয়েছেন।
বাইরে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা অস্বীকার করে সনজিত বলেন, এটা আসলে তাদের একটা ফোবিয়া হয়ে গেছে। তারা যেখানেই মার খায়, ধরপাকড়ের শিকার হয় তখন মনে করে ছাত্রলীগ তাদের মেরেছে।
‘‘আসলে তারা যদি সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলার পথে ব্যারিকেড করে রাখে, তাদের যদি আসতে-চলতে না দেয়… আমরা শুনেছি তারা নীলক্ষেত মোড়ে রাস্তাঘাট আটকে দিয়েছে। তখন সাধারণ জনতা এবং তাদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে তাদের গণধোলাই দিয়েছে।’’
ছাত্রলীগ হামলার দায় নেবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এখানে ছাত্রলীগের দায় কেন হবে? ছাত্রলীগের সবাই আমাদের সঙ্গে উপাচার্যের কার্যালয়ের আশেপাশেই রয়েছেন এবং আমরা নিজেরাও এখানে রয়েছি। আমাদের কন্সার্নের বাইরে গিয়ে ছাত্রলীগকর্মীরা কোন ধরনের কাজ করে না। সুতরাং আমরা এটা আমরা বলতেই পারি, ওরা মিথ্যাচার করছে।
এর আগে, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ঢাবিতে প্রবেশের সময় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপর হামলা অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এতে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।