শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সত্যের জয় হয়েছে, মিথ্যা পরাভূত হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন বলতে যা বুঝায় ৯৯.৯৯% সুশাসন রয়েছে। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শাবিপ্রবি ভিসি বলেন, ২০১৭ সালে আমি আসার পরে বলেছিলাম, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের অন্যায়-অবিচার হবে না, কোনো দূর্নীতি থাকবে না। এটি আজকে সাড়ে ৪ বছর পরে অত্যন্ত আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি এ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি বলেন, এখানে যারা অন্যায় করবে তারা কোনো সময় পার পাবে না। যারা ভালো কাজ করবে আমরা তাদেরকে অনেকভাবে উৎসাহিত করবো। যারা অন্যায় করবে তাদেরকে আমরা কোনোভাবেই আশ্রয়-প্রশ্রয় দেব না। এই দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন এটা আমরা পালন করে আসছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন আমি যখন এখানে আসি তখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ফান্ড ছিলো মাত্র ৯০ লাখ টাকা। আজকে এই জায়গায় দাড়িয়ে আমি বলতে পারি তা ৮ গুণ বেড়ে এটা ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা হয়েছে। শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এতবড় গবেষণার আছে বলে আমার জানা নাই।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালে অবদান রাখায় সংশ্লিষ্ট সকলকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন শাবিপ্রবি ভিসি। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রীদ্বয়, বিভিন্ন এজেন্সি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অবদান ও সহযোগিতার জন্য তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো কারণেই হোক আপনারা সবাই জানেন সর্বশেষ কয়েকদিনে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তাদের শিক্ষাজীবনে একটা দাগ লেগেছে। আমরা সবাই মিলে যাতে তাদের ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে পারি সেজন্য একযোগে কাজ করবো।
‘‘আমি-আমার সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাবো, তোমরা সবাই মনোযোগ দিয়ে আগে যেভাবে পড়াশোনা করেছো এভাবে করো (পড়াশোনা)। আমরা তোমাদের পাশে আছি, যেকোনো সমস্যায় তোমাদের সাথে থাকবো।’’
অধ্যাপক ফরিদ বলেন, আমি এ কথাটা একেবারে দৃঢ়ভাবে বলতে পারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না। কোনো সমস্যা যখন আসে সে সমস্যাটা আমরা সরকারের সাথে আলাপ করে সমাধান করতে পারি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন তিনি বলেন, আমি আসার পর থেকে ১৪টি বাস কিনেছি। এ বছর আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা আরো ৪টি বড় বাস কেনার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। দুই বছরের করোনাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের টংগুলো ধ্বসে পড়েছে। আমরা এতোগুলো ব্যবস্থা নিয়েছি এতোগুলো আধুনিক স্মার্ট টং আমরা বানাচ্ছি।
‘‘আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে এত টং হবে শিক্ষার্থীদের খাবারের কোনো রকম সমস্যা থাকবে না। হলের মধ্যে ইন্টারনেট সমস্যাসহ যেসব সমস্যা রয়েছে তা ইন্সট্যান্টলি সমাধান করে যাচ্ছি এবং আগামীতেও করে যাব।’’
তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে। আগামী দিনেও যেন আমরা সর্বস্তরে এগিয়ে থাকতে পারি- আমরা সবসময় তোমাদের পাশে আছি।