The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

রাবিতে বর্ণিল আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ প্রতিবারের ন্যায় এবারও বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বরণ করে নেওয়া হয়েছে বাংলা নতুন বর্ষকে । শুক্রবার ( ১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় চারুকলা অনুষদে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

পরে বেলা সাড়ে ১১টায় ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
বেলা বারার সাথে সাথে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করে। ঢাক- ঢোল আর গান বাজনায় মুখোরিত ছিল চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। তবে অন্যান্য বারের মতো এবার এতো লোক সমাগম ছিল না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তীব্র তাপদাহ ও ক্যাম্পাস ছুটির কারণে লোকজনের উপস্থিতি কম ছিল। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া মানুষের মধ্যে শুষ্ক বৃক্ষের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার হওয়ার একটা প্রবণতা ফুটে উঠেছে। আধুনিক বাংলাদেশ ও লোকজ সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে পালিত হয়েছে এবারের শোভাযাত্রা।

এবারের শোভাযাত্রার প্রধান আকর্ষণ ছিল পঙ্খিরাজ ঘোড়া। পাশাপাশি শুভকামনার প্রতীক হিসেবে ছিল কচ্ছপ, ছোট-বড় টেপা পুতুল, নারী-পুরুষের মুখোশ ও গাছের গুড়ি। শোভাযাত্রায় হাতপাখা কে বৈশ্বিক জ্বালানির সংকট নিরসনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। পঙ্খিরাজ ঘোড়াকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের দিকে ধাপিত হওয়ার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘নববর্ষ আর যাই বলি না কেন, এগুলো সবই আমাদের যাপিত সংস্কৃতির অংশ। সংস্কৃতি কোনো জলাশয়ের মতো বদ্ধ বিষয় নয়। বাঙালি
কোনো কিছু ভাবতে গেলে আমাদের ধর্মীয় ভেদাভেদ চলে আসে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। জনৈক ব্যক্তি চেয়েছিলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধ করতে। হাইকোর্টে রিট পর্যন্ত করেছিলেন। এটি সফল হবে না জেনেও তবুও তিনি তা করেছিলেন। এই ঘটনা আমাদের ভালো কোনো বার্তা দেয় না। বাঙালি সংস্কৃতি বিশ্বের একমাত্র সাম্যবাদী সংস্কৃতি। বিশ্বের প্রতিকূল অবস্থাকে কাটিয়ে আমদের এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি’।

অনুষ্ঠানে চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও হুমায়ুন কবীর এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামানিকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আলাদাভাবে ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ৪টি সংগঠন।শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া সংগঠনগুলো হলো, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বৈপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (বাসদ মার্ক্সবাদী)। সকাল ১০টায় লাইব্রেরি চত্বর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়।

এসময় তাঁরা ‘ফ্যাসিবাদের পতনে শুচি হোক ধরা’, ‘আমার ভাগের ইলিশ কই!’ ‘বৈশাখ আসে-যায় ফসলের মূল্য নাই’, ‘প্রাণ প্রকৃতির আবাস রামপাল রুপপুরে বিনাশ’ ও ‘মৃৎশিল্পের মূল্য নাই বৈশাখেই শোভা পায়’ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড সম্বলিত লেখা প্রদর্শন করেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.