The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মানবিকে আসন বাড়াতে ২৮ কলেজের আবেদন

কলেজের মানবিক বিভাগে মোট আসন ১৫০টি। এমন একটি কলেজ এবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে তাদের আসন দ্বিগুণ করার আবেদন করেছে। একইভাবে নামীদামি ২৮টি কলেজ আসন বাড়ানোর আবেদন করেছে। এদের মধ্যে দু–একটি বাদ দিয়ে সবাই মানবিক বিভাগের আসন বাড়ানোর আবেদন করেছে।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে আবেদনকারী কলেজগুলোর তথ্য থেকে জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শাখার পড়াশোনার খরচ বেশি। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাই বিজ্ঞান বাদ দিয়ে মানবিক বিভাগ নিয়ে পড়াশোনায় আগ্রহী। আর উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে যেসব শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করছে, তারা শহরের প্রথম সারির কলেজগুলোতে ভর্তি হচ্ছে। এ জন্য মফস্বলের কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থী মিলছে না।

বগুড়ার সরকারি শাহ্‌ এয়তেবাড়িয়া কলেজের মানবিক বিভাগে ১৫০টি আসন রয়েছে। তারা আরও ১৫০টি বাড়ানোর আবেদন করেছে। মানবিক বিভাগের আসন দ্বিগুণ করতে চাইছেন কেন, জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ বলেন, এখানে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী বেশি পাওয়া যায়। বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা না হোক, মানবিক বিভাগে বেশি শিক্ষার্থী থাকলে কলেজটা গমগম করবে। এ জন্যই আবেদন করা হয়েছে।

কলেজের সক্ষমতা কেমন, জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষকের স্বল্পতা আছে। ১৪ কর্মচারীর মধ্যে মাত্র ২ জন রয়েছেন। এখন কলেজে মোট শিক্ষার্থী ১৫৭ জন। তাদের সিংহভাগই মানবিক বিভাগের। বিজ্ঞান বিভাগে ১৫ জন ভর্তি হয়েছে। ক্লাস করে মাত্র ১১ জন।

বগুড়ার সৈয়দ আহম্মদ কলেজের মানবিক বিভাগে আসন ৪০০টি। এবার তারা আরও ২০০ আসন বাড়ানোর জন্য বোর্ডে আবেদন করেছে। জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইদুজ্জামান বলেন, নদী ভাঙন এলাকার দরিদ্র মানুষ এই ব্যয়ভার বহন করতে পারে না। এ জন্য বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনায় এলাকার শিক্ষার্থীদের আগ্রহ নেই। কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ২০০ আসন রয়েছে। শিক্ষার্থী আছে ১৬৮ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের অবস্থা আরও করুণ। কেন শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে চাচ্ছে না, বুঝতে পারছেন না তিনি। মানবিক বিভাগে অনেক শিক্ষার্থী তাঁর কলেজে ভর্তি হতে এসে ফিরে যায়। আসন বাড়ানো হলে আরও শিক্ষার্থী এই কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে, এ জন্য আবেদন করা হয়েছে।

নাটোরের এম কে কলেজের মানবিক বিভাগের আসন সংখ্যা ২৭৫। এই কলেজ থেকে আরও ১২৫টি আসন বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক বলেন, তাঁর কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের আসন খালিই থাকে। আর মানবিক বিভাগে ভর্তির জন্য খুব চাপ থাকে। এলাকার মানুষের চাহিদার কারণেই তিনি মানবিক বিভাগের আসন বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন। তা ছাড়া কলেজের আসন সংখ্যা ঠিকই আছে।

জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আবেদন করলেই তাঁরা আসন বাড়াতে পারবেন না। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলে ও যৌক্তিক কারণ থাকলেই শুধু আসন বাড়ানো হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মানবিকে আসন বাড়াতে ২৮ কলেজের আবেদন

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মানবিকে আসন বাড়াতে ২৮ কলেজের আবেদন

কলেজের মানবিক বিভাগে মোট আসন ১৫০টি। এমন একটি কলেজ এবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে তাদের আসন দ্বিগুণ করার আবেদন করেছে। একইভাবে নামীদামি ২৮টি কলেজ আসন বাড়ানোর আবেদন করেছে। এদের মধ্যে দু–একটি বাদ দিয়ে সবাই মানবিক বিভাগের আসন বাড়ানোর আবেদন করেছে।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে আবেদনকারী কলেজগুলোর তথ্য থেকে জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শাখার পড়াশোনার খরচ বেশি। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাই বিজ্ঞান বাদ দিয়ে মানবিক বিভাগ নিয়ে পড়াশোনায় আগ্রহী। আর উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে যেসব শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করছে, তারা শহরের প্রথম সারির কলেজগুলোতে ভর্তি হচ্ছে। এ জন্য মফস্বলের কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থী মিলছে না।

বগুড়ার সরকারি শাহ্‌ এয়তেবাড়িয়া কলেজের মানবিক বিভাগে ১৫০টি আসন রয়েছে। তারা আরও ১৫০টি বাড়ানোর আবেদন করেছে। মানবিক বিভাগের আসন দ্বিগুণ করতে চাইছেন কেন, জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ বলেন, এখানে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী বেশি পাওয়া যায়। বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা না হোক, মানবিক বিভাগে বেশি শিক্ষার্থী থাকলে কলেজটা গমগম করবে। এ জন্যই আবেদন করা হয়েছে।

কলেজের সক্ষমতা কেমন, জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষকের স্বল্পতা আছে। ১৪ কর্মচারীর মধ্যে মাত্র ২ জন রয়েছেন। এখন কলেজে মোট শিক্ষার্থী ১৫৭ জন। তাদের সিংহভাগই মানবিক বিভাগের। বিজ্ঞান বিভাগে ১৫ জন ভর্তি হয়েছে। ক্লাস করে মাত্র ১১ জন।

বগুড়ার সৈয়দ আহম্মদ কলেজের মানবিক বিভাগে আসন ৪০০টি। এবার তারা আরও ২০০ আসন বাড়ানোর জন্য বোর্ডে আবেদন করেছে। জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইদুজ্জামান বলেন, নদী ভাঙন এলাকার দরিদ্র মানুষ এই ব্যয়ভার বহন করতে পারে না। এ জন্য বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনায় এলাকার শিক্ষার্থীদের আগ্রহ নেই। কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ২০০ আসন রয়েছে। শিক্ষার্থী আছে ১৬৮ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের অবস্থা আরও করুণ। কেন শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে চাচ্ছে না, বুঝতে পারছেন না তিনি। মানবিক বিভাগে অনেক শিক্ষার্থী তাঁর কলেজে ভর্তি হতে এসে ফিরে যায়। আসন বাড়ানো হলে আরও শিক্ষার্থী এই কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে, এ জন্য আবেদন করা হয়েছে।

নাটোরের এম কে কলেজের মানবিক বিভাগের আসন সংখ্যা ২৭৫। এই কলেজ থেকে আরও ১২৫টি আসন বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক বলেন, তাঁর কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের আসন খালিই থাকে। আর মানবিক বিভাগে ভর্তির জন্য খুব চাপ থাকে। এলাকার মানুষের চাহিদার কারণেই তিনি মানবিক বিভাগের আসন বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন। তা ছাড়া কলেজের আসন সংখ্যা ঠিকই আছে।

জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আবেদন করলেই তাঁরা আসন বাড়াতে পারবেন না। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলে ও যৌক্তিক কারণ থাকলেই শুধু আসন বাড়ানো হবে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন