The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

মেডিকেলে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ছে ৫ দিন

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার (৮ মার্চ) অথবা আগামীকাল বুধবার (৯ মার্চ) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে অধিদপ্তর।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে আবেদনের সময়সীমা না বাড়ানোর চিন্তাভাবনা ছিল কর্তৃপক্ষের। তবে এইচএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষার জন্য আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আবেদনের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তি আবেদনের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব। তিনি বলেন, আবেদনের সময় পাঁচদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আর টাকা জমা দেওয়া যাবে ১৬ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ১০ মার্চ আবেদনের সময় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেটি বাড়িয়ে ১৫ মার্চ করা হচ্ছে। আর ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাইনলোড করা যাবে ২৬ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত। আর ১ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশি নাগরিক যারা বিদেশি শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের সার্টিফিকেট সমতাকরণ করতে হবে। এজন্য দুই হাজার টাকা জমা দিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) বরাবর আবেদন করতে হবে। পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় এইচএসসি পাস প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৭ দশমিক ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।

যারা ২০২০ বা ২০২১ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় (পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ) উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসাবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ এর জন্য ৭৫ নম্বর এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর জন্য ১২৫ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটির প্রশ্নের মান ১। এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টায়। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বরের (মোট ১০০) প্রশ্ন থাকবে।

এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবে। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.