বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু লাল সন্ত্রাসের ডাক দেওয়ার তাকে আটক ও ছাত্র ইউনিয়নকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টায় বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লিপুচ ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে জয় বাংলা চত্বরে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
এসময় তারা ‘লাল সন্ত্রাসীর ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘লাল সন্ত্রাসী, জঙ্গি বসু’, ’জঙ্গিবাদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘দিকে দিকে খবর দে, জঙ্গিবাদের কবর দে’, ‘উদ্যানের গাঁজাখোর, উদ্যানে ফিরে যা’, ‘একশন টু একশন, লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একশন’, ‘অ্যাকশন টু একশন, বাম রাজনীতির বিরুদ্ধে অ্যাকশন’, ‘অ্যাকশন টু একশন, শাহবাগীদের বিরুদ্ধে একশন’, ‘জঙ্গি বসুর ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি, ‘হৈ হৈ রই রই’ মেঘ মল্লার গেলি কই’, ‘জঙ্গি বসু, গোসল দে’ স্লোগান দিতে থাকেন।”
বিক্ষোভ সমাবেশে ফার্মেসি বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহিনুর রহমান বলেন,” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু ফেসবুক পোস্ট এবং লাইভের মাধ্যমে লাল সন্ত্রাসের ডাক দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে আওয়ামী স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টের যে আস্তানা তার আশ্রয়দাতা হলো এই রেড টেরোরিস্টরা। তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য কাজ করছে। আওয়ামী লীগকে এরাই স্বৈরাচার হতে সহযোগিতা করেছে। আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী ছিল এরা। এরাই ইসলামি দলগুলোকে জঙ্গি ট্যাগ দিয়েছিল। এই লাল সন্ত্রাসীকে অতিদ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির মুখোমুখি করার দাবি জানায়। ”
উপমহাদেশে প্রথম ছাত্র হত্যাকারী সংগঠন হিসেবে ছাত্র ইউনিয়নকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু দারদা বলেন,” ভারত উপমহাদেশে এই লাল সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন প্রথম ছাত্র হত্যার রাজনীতি শুরু করে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে তারা জঙ্গি। ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই লাল সন্ত্রাসীরা অস্ত্র দিয়ে তিনজন শিক্ষার্থীকে হত্যার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে এরা জঙ্গি। তাদের একটাই পরিচয় তারা জঙ্গি। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট আমলে সকল স্থানে এরা ঘাপটি মেরে থেকেছে এবং প্রত্যেকটা জায়গায় তাদের কূটকৌশলের মাধ্যমে এই দেশকে ষড়যন্ত্রের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাদের এই সকল ষড়যন্ত্র এখন থেকে ছাত্র জনতা রুখে দিবে। ”
তিনি আরও বলেন, ” এমনকি তারা আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীকে ট্যাগ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছিল। আজ কেন তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না প্রশাসনের কাছে জানতে চাই। দ্রুত তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। তারা সব সময় এদেশের মুসলমানদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে। তারা বলেছে ডানপন্থীদের কাছে নাকি এই দেশ সেভ না। আমি বলতে চাই বামপন্থিদের কাছে এই দেশ সেভ কখনো ছিল না এবং থাকবেও না।”
ছাত্র ইউনিয়নকে ফ্যাসিবাদের এক নাম্বার দোসর বলে উল্লেখ করে বলেন, ” অতিদ্রুত এই মেঘমল্লার বসুকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানান। ”
এর আগে, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে এক ইংরেজি বার্তায় উল্লেখ করেন, ‘লাল সন্ত্রাসই একমাত্র পথ বা উপায়।’