নাবিদ, কুবিঃ বিবাহিত নারীদের নিয়ে আয়োজিত সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘বি বি বি (বিডি বাজেট বিউটি) মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২২’ প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ এ জায়গা করে নিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সহিহা কবীর অনন্যা।
বিবাহিত নারীরাও যে পিছিয়ে নেই, চাইলে তাদের পক্ষেও যে মেধা ও প্রতিভার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। তারই একটি প্লাটফর্ম হলো ‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা। আর এই প্লাটফর্মে ৮ হাজার প্রতিযোগিকে পেছনে পেলে সেরা ১০ এ জায়গা করে নিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সহিহা কবির অনন্যা।
সাবেক প্রতিবর্তন ও থিয়েটার কর্মী অনন্যার এভাবে উঠে আসার গল্প শুনতে কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, ফেসবুকে মিসেস ইউনিভার্সের পেইজে তিনি এমন একটি প্রতিযোগিতার কথা শুনে শ্বাশুড়ির অনুপ্রেরণায় আবেদন করেন। এরপর ‘মিসেস ইউনিভার্স’ কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে সেখান থেকে টপ ৫০০ বাছাই করেন। যারমধ্যে জায়গা করে নেন অনন্যা।
এরপরে অডিশন রাউন্ডে অংশ নিয়ে ছিটকে পড়ে ৪ শতাধিক প্রতিযোগী। বাকি থাকে ১০০ জন প্রতিযোগী। এরপর চূড়ান্ত প্রতিযোগীতার জন্য ৩ দিনের গ্রুমিং ও মোটিভেশনাল সেশন হয়। এই সেশনে ১০০ জন থেকে বাদ পড়ে আরও ৫০ প্রতিযোগী।
এরপর আরও একবার গ্রুমিং সেশন শেষে মাত্র ২০ জন প্রতিযোগীকে নির্বাচন করা হয় ১২ নভেম্বরের ফাইনাল রাউন্ডের জন্য। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে বিজয়ীর মুকুট ওঠে আন নূর খান নোলকের মাথায়। ১ম রানার্সআপ হন কানিজ সুবর্না এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছেন মেহেরীন হামিদ। আর এই চূড়ান্ত আসরেই সেরা ১০ এ জায়গা করে নেন সহিহা কবির অনন্যা।
মিসেস ইউনিভার্সের মতো একটি বড় প্লাটফর্মে সুযোগ পাওয়ার অনুভূতির বিষয়ে জানতে চাইলে অনন্যা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনাকালীন আমি প্রতিটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতাম। নিজে নাচ তুলে দিতাম। অভিনয় শেখাতাম। যা আমার এখন কাজে লাগছে।
তিনি আরও বলেন, আমি অনেক বেশি আনন্দিত। কারণ, আমার এই অর্জন সামনের দিনগুলোতে চলারপথে অনেক সাহস যোগাবে। আমার দীর্ঘদিনের যেই স্বপ্ন অভিনেত্রী হওয়া। সেই স্বপ্নপূরণের পথটি সহজ করে দিয়েছে ‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০২২’ এর এই আসর।