বোরহান উদ্দিন, জাবিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব বেড়েছে কয়েকগুণ হারে । সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই বৃদ্ধি পায় মশার উৎপাত। এমনকি সারাদিন ক্যাম্পাসের হল, ক্লাস রুম, টিএসসি ক্যান্টিন, বটতলা এবং আবাসিক হলগুলোতপ মশার উপদ্রবের কারণে অতিষ্ঠ এখানকার শিক্ষার্থীরা।
মশা নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তেমন কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে মশার উপদ্রব। এ ছাড়াও নিয়মিত ওষুধ না ছিটানো, হলের চারপাশের ঝোঁপঝাড় পরিষ্কার না করা ও যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার কারণে অতিরিক্ত হারে মশার উপদ্রব বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজুক ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা এ জন্য দায়ী বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন হলে মশা নিধনের জন্যে স্প্রে করে ঔষধ ছিটানো, ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার এবং ফগার মেশিনে (মশার লার্ভা নিধনে ব্যবহৃত যন্ত্র) ধোয়া দেয়া হয়। কিন্তু এতে মশার উপদ্রব কমেনি। দীর্ঘদিন হলের চারপাশের আগাছা এবং ঝোপঝাড় অপরিষ্কার রাখা, হলের ড্রেনে নোংরা পানি পরিষ্কার না করা, যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঝোপঝাড় এবং ময়লার ডাস্টবিন ঠিকমতো পরিষ্কার না করার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে মশার উপদ্রব।
রাতের বেলা কয়েল, মশা মারার স্প্রে, মশারি কিছু দিয়েই মশার কামড় থেকে রেহাই মিলছে না। দুপুরে বিশ্রামের জন্য বিছানায় গেলেও রাতের মতো মশারি দিতে হয়। এতে আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. শামসুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ক্যাম্পাসে মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নিগার সুলতানা বলেন, মশা নিধনে হলের ভেতরে এবং বাইরে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। আমরা মশা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করি। কিন্তু এখন যেহেতু মশার প্রকোপ বেশি তাই হল প্রভোস্টদের মশা নিয়ন্ত্রণে ঘন ঘন মশা নিরোধক ব্যবহার করতে বলা হবে। এবং শিক্ষার্থীদেরও সতর্ক থাকতে হবে।