নাবিদ, কুবি প্রতিনিধি: আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার বেলতলী বিশ্বরোড এলাকায় অবস্থিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান ফটক ভেঙে ফেলা হয়েছে। সম্প্রতি ফটকটি ভেঙে ফেলেছে সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর।
জানা গেছে, গত বছরের ২৮ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বেলতলীসহ কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে তিনটি আন্ডারপাস ও একটি ইউলুপ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। জনস্বার্থে ফটকটি ভেঙে ফেলা হলেও পাশেই আরেকটি ফটক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ওই প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি বেলতলীতে আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করা সড়ক ও জনপদ (সওজ) বলেছে, মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান ফটকটি সওজের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অপসারণ করা ছাড়া আন্ডারপাস নির্মাণ সম্ভব নয়।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে সভা করেছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা। সভা শেষে সওজকে আরেকটি ফটক নির্মাণের দাবি জানিয়েছে কুবি কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা সওজকে আরেকটি ফটক নির্মাণের জন্য চিঠি দিয়েছে। তাঁরা এখনও আমাদেরকে নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু জানায়নি।
সওজ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
এদিকে ফটকটি ভেঙ্গে ফেলায় নিন্দা জানিয়েছে শাখা ছাত্রদল। ওই ফটকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ কুমিল্লার ১৫ জন সংসদ সদস্যের নাম ছিল।
কুবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, খালেদা জিয়ার নাম সম্বলিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরও উন্নয়নের নামে উপড়ে ফেলা হয়েছে। তখন প্রশাসন সেটি পুনঃস্থাপনের কথা বললেও এখনও করেনি। এবার ভেঙে ফেলা হলো ফটক। পুনঃনির্মাণ হলেও সেখানে খালেদা জিয়ার নাম পুনঃস্থাপনের দাবি জানাই আমরা।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনকে একাধিকার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।