সারাদেশে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়েছে, তাছাড়া রিডিং রুমের জানালার গ্লাস, দুতলার বারান্দার একটি অংশও ধসে পড়েছে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ গুরুতর আহত না হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় হুড়াহুড়ি করে নামতে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছেন কয়েকজন। শনিবার সকাল ৯ টা ৩৫ মিনিটে ৫.৬ রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূকম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ- উত্তর দক্ষিণে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।
৬০ বছরের পুরনো এই হলে প্রায়ই ইট-সিমেন্টের পলেস্তারা খসে পড়ে। ছাদের ঢালাইয়ের ভেতরে থাকা রডও এখন বাইর থেকে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েক স্থানে। অতীতে সিলিংয়ে লাগানো ফ্যানও হঠাৎ খুলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে হলে। ভবনের ছাদ থেকে বড় আকারের এই পলেস্তারার টুকরা খসে পড়ায় শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময় জখম হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, হলে প্রায়ই বিভিন্ন কক্ষে উপর থেকে ইট-সুরকি খুলে পড়ে। আজকে ভূমিকম্পে বেশ কয়েক জায়গায় এরকম ফাটল, পলেস্তারা খুলে পড়েছে। এ ছাড়া পাঠকক্ষের দরজার গ্লাসও ভেঙেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, ভূমিকম্পে হলটির কয়েকটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে, দোতলার বারান্দার কার্নিশের একটি অংশ এবং রিডিং রুমের দরজার কাচ ভেঙে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে হলের বাইরে নেমে আসেন।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গতবার ভূমিকম্পেও আমাদের হল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন আমরা বুয়েটের বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে চিহ্নিত করে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী হল সংস্কার করেছি। কাল প্রকৌশল দপ্তরকে জানিয়ে যেসব স্থানে আজকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পুরনো হল হওয়ায় এগুলো ঘটছে।’ তিনি শিক্ষার্থীদেরকে এরকম বিষয় ঘটলে তাকে অথবা হল অফিসে জানানোর অনুরোধ করেছেন।