ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস নিয়ে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও তাবলীগ জামাতের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার চম্পকনগর এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন লোক আহত হয় এবং বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া গ্রাম থেকে দৌলত বাড়ি দরবার শরিফের পীর নাঈম হুজুর ও মাজেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি জশনে জুলুসের মিছিল বের হয়। মিছিলটি চম্পকনগর গ্রামে আসলে তাবলীগের নেতা রহমত উল্লাহর সমর্থনে তখন ওই গ্রামের লোকজন তাতে বাধা দেয় এবং কামাল নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করে।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে সাটিরপাড়া, ইছাপুরা ও খাদরাইল গ্রামের লোকজন চম্পকনগর গ্রামে হামলা করে। এ সময় চম্পকনগর গ্রামের পক্ষে গেরাগাঁও ও নুরপুর গ্রামের লোকজনও সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মাছুম জানান, হাসপাতালে ২০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে নাসির উদ্দিন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, জশনে জুলুসের র্যালী নিয়ে ঈদে মিলাদুন নবীর দিনের ঝামেলাকে কেন্দ্র করে আজকের সংঘর্ষ হয়েছে। আমার সহ অনেকের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজয়নগর সদর সার্কেলর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।