খুবি প্রতিনিধি : ভারী বর্ষণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) কেন্দ্রীয় মাঠ খেলাধুলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। খাজার মাঠ নামে বহুল পরিচিত এ মাঠটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষায় ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে মাঠটি। তবে বর্ষাকালে নিচু জায়গায় পানি জমার কারণে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে ব্যহত হচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিরচেনা খেলাধুলার পরিবেশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার স্থান মাঠটি বেশ উঁচু-নিচু। অসমতল হওয়ায় ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে বিভিন্ন জায়গায় কাদা জমেছে। বর্ষাকালে মাঠটি খেলার অনুপোযোগী হয়ে পড়ে এ অবস্থায় পর্যাপ্ত খেলার পরিবেশ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ খুবি শিক্ষার্থীদের।
জানা গেছে, বিকেল হলেই শত শত শিক্ষার্থীর হৈ-হুল্লোড়ে মুখর হয়ে ওঠে খুবির কেন্দ্রীয় মাঠ। হরেক রঙের জার্সি গায়ে খেলতে নামেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় সারা বছরই ক্রিকেট, ফুটবল-ভলিবলের মতো খেলায় জমজমাট থাকে খাজার মাঠের পরিবেশ। এ মাঠেই আয়োজন করা হয় আন্তঃডিসিপ্লিন বিভিন্ন টুর্নামেন্ট।
বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জিএম আবীর মাহমুদ বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় মাঠে পানি নিষ্কাশন ও কাঁদার সমস্যা রয়েছে। খেলার মাঠ সংকটের কারণে প্রতিটা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরাদের সকল ধরনের খেলা একটি মাঠে করতে হয়। আবার ছুটির দিনে বহিরাগতদের চাপ এমন বেগতিক হয় যে, খেলার পরিবেশ নষ্ট হয়। ফলে সর্বক্ষণ খেলা চলার ফলে মাঠটি বর্ষাকালে বড় কোন টুর্নামেন্ট আয়োজনের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, মাঠের এক পাশে নালা খনন করা হয়েছে। আরেকপাশ বালি দিয়ে উচু করা হচ্ছে। প্রশাসন দ্রুত মাঠটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করবে। এতে সব মৌসুমে শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দে খেলাধুলা করতে পারবে বলে আশা তাদের।
এ বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা চর্চা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর একমাত্র খেলার স্থান। যে কারণে বর্ষায় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মাঠটি কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। তবে আমরা এর স্থায়ী সমাধান নিয়ে কাজ করছি। যদিও সম্পূর্ণ মাঠ সংস্কার করতে একটু সময় লাগবে। তবুও আমরা আশাবাদী, দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে। শিক্ষার্থীদেরও সচেতন থাকতে হবে, মাঠটি যাতে খেলাধুলার উপযোগী থাকে।