The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

খেজুর ছাড়া ইফতার যেন অসম্পূর্ণ

খেজুর ছাড়া ইফতার যেন অসম্পূর্ণ কোন কার্য। ইফতারে খেজুর থকতেই হবে – এমনটাই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।

ইফতারে কেবর খেজুর রাখাই হয় না, ওই খেজুর মুখে দিয়েই রোজা ভাঙেন রোজদাররা। ইফতারিতে হাজারো আইটেম থাকে তথাপি আগে খেজুর ও শরবত দিয়ে ইফতার শুরু করা হয় এটিই যেন নিয়ম।

মূলত: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) – এর সুন্নত অনুসরণেই এ রীতি পালন করা হয়। তবে এছাড়াও খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙার পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। বিষয়টি আমরা অনেকেই হয়ত জানি না। খেজুর রয়েছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যার রোজাদারের জন্য খুবই উপকারী।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টির জোগান দেয় খেজুর। এ ফলটি খুব সহজেই হজম হয়। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট । সারাদিন উপবাসের পরে শরীরে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট দ্রুত পূরণ করতে সাহায্য করে এই ফল। এছাড়াও খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, তামা, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। এসব রাসায়নিকের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

ইফতারের সময় খেজুর খেয়ে শুধু ক্ষুধা নিবারণই হয় না; সারা দিন না খেয়ে থাকার পর অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। কারণ, খেজুরে প্রচুর ফাইবার থাকে, যে কারণে অল্পতেই খাবারের চাহিদা পূর্ণ হয়।

মরুর বুকে মহানবীর সঙ্গে সাহাবা, তাবেঈনরা শুধু খেজুর খেয়েই দিনের পর দিন কাটিয়ে দিতেন। তারা এতো কাজ করেও ক্লান্ত হতেন না। কারণ, খেজুর খেলে শারীরিক ক্লান্তি দূর হয় এবং দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। যেমন- গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। এতে সুগারের পরিমাণ এতটাই বেশি, যে এক কামড়েই অনেকটা এনার্জি পাওয়া যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ উপবাসের পর শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে খেজুরের এসব গুণ।

তাই রমজানে সারা দিন উপোস থেকে ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়া শরীরের জন্য খেজুর অপরিহার্য অনুসঙ্গ।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. লাইফ স্টাইল
  3. খেজুর ছাড়া ইফতার যেন অসম্পূর্ণ

খেজুর ছাড়া ইফতার যেন অসম্পূর্ণ

খেজুর ছাড়া ইফতার যেন অসম্পূর্ণ কোন কার্য। ইফতারে খেজুর থকতেই হবে - এমনটাই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।

ইফতারে কেবর খেজুর রাখাই হয় না, ওই খেজুর মুখে দিয়েই রোজা ভাঙেন রোজদাররা। ইফতারিতে হাজারো আইটেম থাকে তথাপি আগে খেজুর ও শরবত দিয়ে ইফতার শুরু করা হয় এটিই যেন নিয়ম।

মূলত: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) - এর সুন্নত অনুসরণেই এ রীতি পালন করা হয়। তবে এছাড়াও খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙার পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। বিষয়টি আমরা অনেকেই হয়ত জানি না। খেজুর রয়েছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যার রোজাদারের জন্য খুবই উপকারী।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টির জোগান দেয় খেজুর। এ ফলটি খুব সহজেই হজম হয়। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট । সারাদিন উপবাসের পরে শরীরে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট দ্রুত পূরণ করতে সাহায্য করে এই ফল। এছাড়াও খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, তামা, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। এসব রাসায়নিকের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

ইফতারের সময় খেজুর খেয়ে শুধু ক্ষুধা নিবারণই হয় না; সারা দিন না খেয়ে থাকার পর অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। কারণ, খেজুরে প্রচুর ফাইবার থাকে, যে কারণে অল্পতেই খাবারের চাহিদা পূর্ণ হয়।

মরুর বুকে মহানবীর সঙ্গে সাহাবা, তাবেঈনরা শুধু খেজুর খেয়েই দিনের পর দিন কাটিয়ে দিতেন। তারা এতো কাজ করেও ক্লান্ত হতেন না। কারণ, খেজুর খেলে শারীরিক ক্লান্তি দূর হয় এবং দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। যেমন- গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। এতে সুগারের পরিমাণ এতটাই বেশি, যে এক কামড়েই অনেকটা এনার্জি পাওয়া যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ উপবাসের পর শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে খেজুরের এসব গুণ।

তাই রমজানে সারা দিন উপোস থেকে ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়া শরীরের জন্য খেজুর অপরিহার্য অনুসঙ্গ।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন