The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

বেরোবিতে সড়ক অবরোধ করে বিতর্কমঞ্চ,অস্বস্তিতে শিক্ষার্থীরা

বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ১নং গেইট প্রবেশপথে দেবদারু সড়ক অবরোধ করে রাস্তার মাঝে সাজানো হয়েছে আন্ত:বিভাগ সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিতর্কমঞ্চ।এতে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

সরজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত দেবদারু রোডে বিতর্কমঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। সড়কটির পিছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী ও ক্যাফেটেরিয়া থাকায় বর্তমানে শিক্ষার্থীদের উল্টো পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে।এতে করে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কড়া সমালোচনা করতে দেখা গেছে।

জানা যায়,বিশ্ববিদ্যালয়টি ষোলো বছরে পদার্পণ করলেও এখন পর্যন্ত একটি অডিটোরিয়ামের দেখা মেলেনি।বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে কয়েক উপাচার্যের যাওয়া আসা হলেও কোনো উপাচার্যই একটি অডিটোরিয়ামের নিশ্চয়তা দিতে পারে নি।অডিটোরিয়াম না থাকায় খোলা মাঠেই শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রাম করতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,যুক্তির মিছিলে ভাঙ্গি মগজের কারফিউ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো আন্তঃবিভাগ সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা আগামীকাল শুক্রবার ও শনিবার (২৪ ও ২৫ নভেম্বর) শুরু হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইশটি বিভাগকে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংগ্রহন করতে বলা হলেও ১৬ টি বিভাগ অংশ নিচ্ছে বিতর্ক প্রতিযোগিতায়।

ভোগান্তির কথা বলতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ প্রোগ্রামগুলো ক্যাফেটেরিয়ার সামনে হয়। ক্যাফের সামনেই লাইব্রেরি।স্টুডেন্টরা লাইব্রেরিতে পড়তে পারে না।
প্রোগ্রামগুলো স্বাধীনতা স্মারক এর সামনে হলে মনে হয় না কোন সমস্যা হবে। আজকে দেখি রাস্তা অবরোধ করে বিতর্ক মঞ্চ তৈরি করতেছে যা আমার কাছে ঠিক হয়নি বলে মনে হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী অনামিকার সাথে। তিনি বলেন,রাস্তায় বিতর্কমঞ্চ তৈরি না করে স্বাধীনতা স্বারক,কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে করলে ভালো হতো।এছাড়াও আমাদের অডিটোরিয়াম থাকলে আমাদের এমন সমস্যায় পড়তে হতো না।

চারটি মাঠ থাকা সত্বেও রাস্তা অবরোধ করে বিতর্কমঞ্চ তৈরি করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবেট সোসাইটির চীফ মডারেটর সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক বলেন, দেখুন আমি এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চাই না বলেই ফোন কেটে দেন।

এম কে পুলক আহমেদ

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.