The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মনে করেন আবাসিক শিক্ষার্থীদের আছে ‘টাকার গাছ’!

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলগুলোতে খাবারের মান নিম্নমানের হলেও মুদ্রাস্ফীতির দোহাই দিয়ে বাড়ানো হয়েছে খাবারের মুল্য সাথে তাল মিলিয়ে আবাসিকতার খরচ এক লাফে ২১৪০ টাকা থেকে ৩১৮০ টাকা, পরিবহন ব্যবহার না করলেও দিতে হয় ফি। কিন্তু কতটুকু সমাধান এসেছে তার বিনিময়ে, হলের অপরিচ্ছনতা ও নামমাত্র ইন্টারনেট সেবা দিয়েই ক্ষান্ত হল প্রশাসন ।

হল প্রশাসন মুদ্রাস্ফীতির দোহাই দিয়ে খাবারের মুল্য থেকে আবাসন খরচ সবকিছুই বাড়িয়েছে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের সেবার মান ব্যতীত। অভিযোগ রয়েছে হলের ইন্টারনেট সেবা খুবই ধিরগতির, টয়লেট অপরিচ্ছন, ওয়াসরুমের দরজাগুলো ভাঙা, ওয়াসরুমে সারাক্ষণ নোংরা পানি জমে থাকে, ভেসিন অপরিচ্ছন্ন। এছাড়াও হলের প্রশাসনিক কার্যক্রমে ধিরগতি।

হল প্রশাসনের একঘেয়ে সিদ্ধান্তে আবাসিক শিক্ষার্থীদের উপর আসছে বিরূপ প্রভাব। অধিকাংশ আবাসিক শিক্ষার্থীরা নামমাত্র খরচ বাড়ি থেকে সংগ্রহ করেন। তবে বারবার খাবারের মূল্যবৃদ্ধি, আবাসিকতার খরচ বাড়তে থাকায় কষাঘাত চলছে শিক্ষার্থীদের। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে বেড়েছে শিক্ষা দ্রব্যমূল্য এমনিতেই হিমসিম খাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তারউপর হল প্রশাসন ভর্তুকি না বাড়িয়ে কেন আবাসিক শিক্ষার্থীদের খরচ বাড়িয়েছেন তা অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাকতালীয় কোন কল্প কাহিনি জানা আছে শিক্ষার্থীদের কাছে টাকার গাছ আছে’।

হল সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের আগে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসিক ফি ছিল ৭১৮ টাকা। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসহ আনুষঙ্গিক ফি বাড়িয়ে প্রায় ৩ গুণ করা হয়। একই সাথে ওই শিক্ষাবর্ষের আবাসিক ফি বৃদ্ধি করে ১৮৭২ টাকা করা হয়। এছাড়া ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আরেক ধাপে বৃদ্ধি করা হয় আবাসিক ফি। দ্বিতীয় ধাপে বৃদ্ধির পর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক ফি দাঁড়ায় ৩১৮০ টাকা। যা ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ফি থেকে ২৪৬২ টাকা বেশি অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৩ গুণ।

খাবারের মান খুব খারাপ হলেও হল প্রশাসন নিজেদের ইচ্ছেমতো ডাইনিং মেনেজার নিয়োগ করেন, তারপর আর খাবারের মান নিয়মিত যাইচ করেন না। হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের থেকে কোন মতামত গ্রহণ না করে তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী হল পরিচালনা করেন। হল প্রশাসনের এ ধরনের একঘেয়ে সিদ্ধান্তে আবাসিক শিক্ষার্থীদের ঘি দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার মতো অবস্থা হতে পারে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.