মো আমান উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী সাথে বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির (বাকৃবিসাস) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) বিকাল ৪টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে ওই মতবিনিময় সভা ও সাংবাদিক সমিতির পক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।
মতবিনিময় সভায় বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আরোও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবিসাসের প্রধান উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম এবং বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির বর্তমান সদস্যরা।
এ সময় ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ডের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে। আগামী সপ্তাহ থেকে প্রত্যেক ফ্যাকাল্টি থেকে প্রতি দিনে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে আইডি কার্ড দেওয়া হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড বিতরণ সম্পূর্ণ হবে।
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, উপাচার্য হিসেবে আগামী চার বছরে আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি অনন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে চাই। অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প (ডিপিপি) বাস্তবায়নের জন্য যা যা করণীয় সেগুলো করতেই হবে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আন্তর্জাতিক মানের গ্রাজুয়েট তৈরী করবে বাকৃবি। বিশ্বের যেকোনো দেশের গ্রাজুয়েটদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা থাকবে তাদের। সফল উদ্যোক্তা হবেন আমাদের গ্রাজুয়েটগণ। যেখানে যার যে দায়িত্ব আছে তাকে সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই মিলে কাজ করলেই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
উপাচার্য আরও বলেন, বাকৃবির প্রত্যেক হলে ডাইনিং চলমান রাখার জন্য প্রভোস্টদের নিয়ে আলোচনা করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত গতির ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড সংযোগ চালু করা হবে। গুচ্ছ পরীক্ষা ব্যবস্থা আগামী বছর থেকে নাও থাকতে পারে। আগামী মেরিট স্কোর থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতে পারে। যদি এ ব্যবস্থা চালু না হয় তাহলে বিশ^বিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী হতে হবে। বর্তমান শিক্ষার্থীরা বিসিএস কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এই শ্রম যদি শিক্ষার্থীরা গবেষণার কাজে ব্যয় করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় অনেক এগিয়ে যাবে।