চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতি হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খাত মিলে দক্ষিণ এশিয়ায় গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৫ শতাংশ হতে পারে। অন্যান্য দেশগুলো মূল্যস্ফীতির তোপের মুখে পড়লেও বাংলাদেশ সুবিধাজনক জায়গায় আছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে নিয়ে এই তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এতে খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। তবে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ও নেপালে বড় ধরনের খাদ্য ঘাটতি দেখা যায়নি। পাকিস্তানে সারের অভাব এবং তাপপ্রবাহের কারণে গম ও চালের উৎপাদন কম হয়েছে। ভুটান এবং শ্রীলঙ্কা অভ্যন্তরীণ খাদ্য সরবরাহে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি অনুভব করছে। শ্রীলঙ্কায় সারের ঘাটতির কারণে কৃষি উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমেছে এবং খাদ্য আমদানি কেনার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার অভাব রয়েছে। সার ও জ্বালানির (জমি প্রস্তুতি, পরিবহন এবং ফসল সংগ্রহের কার্যক্রমের জন্য) অভাব খাদ্য সরবরাহকে আরও সীমিত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশে উঠেছে। পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ। বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই সূচকটি সে তুলনায় অনেক কম, এক অঙ্কের ঘরে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ।